সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দ্বি-পাক্ষিক সম্মেলন আজ ॥ শিলং গেলেন ৭ জেলার জেলা প্রশাসকসহ ৫২ সরকারী কর্মকর্তা

39
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সম্মেলনে যোগ দিতে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে শিলং যাচ্ছেন ৭ জেলার ৫২ কর্মকর্তা।

ষ্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে শিলংয়ে আয়োজিত দ্বি-পাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে গেলেন ৭ জেলার জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ, বিজিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কাষ্টমস, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের ৫২ জন কর্মকর্তা।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের নেতৃত্বে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতের ডাউকি চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতের মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, মাদক ও গরু পাচারসহ চোরাচালান বন্ধ, বর্ডার হাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ অভিন্ন বেশকিছু সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন (পিপিএম)। সম্মেলন শেষে কাল বুধবার প্রতিনিধি দলটি তামাবিল দিয়ে বাংলাদেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।
সিলেটের ৮ সদস্যের টিমে রয়েছেন জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন (পিপিএম), ৪৮ বিজিবি সিলেটের পরিচালক লে. কর্ণেল আহমেদ ইউসুফ জামিল, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালাম, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়–য়া, গোয়াইনঘাটের ইউএনও বিশ্বজিত কুমার পাল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সুমাইয়া ফেরদৌস, নারোটিকস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মলয় ভুষণ চক্রবর্তী।
সুনামগঞ্জের ৮ সদস্যের টিমে রয়েছেন, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, ২৮ বিজিবি সুনামগঞ্জের পরিচালক লে. কর্ণেল মো. মাকসুদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ মকলেছুর রহমান, ইউএনও বিশম্ভরপুর সমির বিশ্বাস, ইউএনও সুনামগঞ্জ সদর ইয়াসমিন নাহার রুমা।
নেত্রকোনার ৬ সদস্যের টিমে রয়েছেন, জেলা প্রশাসক ময়েনুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনশি, ৩১ বিজিবি নেত্রকোনার পরিচালক লে. কর্ণেল মো. শাহজাহান সিরাজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ইউএনও কলমাকান্দা মো. জাকির হোসেন, ইউএনও দূর্গাপুর ফারজানা খানম।
ময়মনসিংহের ৮ সদস্যের টিমে রয়েছেন, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, ৩৯ বিজিবি ময়মনসিংহের পরিচালক লে. কর্ণেল শহীদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মাদ শের মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সমর কান্তি বসাক, ইউএনও হালুয়াঘাট রেজাউল করিম, ইউএনও ধোবাউরা রফিকুজ্জামান, নারোটিকস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদ হোসেন মোল্লা।
শেরপুরের ৬ সদস্যের টিমে রয়েছেন, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবিএম এহসানুল মামুন, ইউএনও ঝিনাইগাতি রুবেল মাহমুূদ, সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (বিডব্লিউডিবি) জামালপুর মাজহারুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
জামালপুরের ৭ সদস্যের টিমে রয়েছেন, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির, পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সোহেল মাহমুদ, ইউএনও দেওয়ানগঞ্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, নারোটিকস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ নেওয়াজ।
কুড়িগ্রামের ৮ সদস্যের টিমে রয়েছেন, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, বিজিবি’র ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল মো. আনোয়ারুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাফিজুর রহমান,ইউএনও চর রাজিবপুরের মেহেদী হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, নারোটিকস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মাসুদ হোসেন ও রৌমারী কাষ্টমস এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট সার্কেলের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আফতারুল ইসলাম ও ভূমি রেকর্ড বিভাগ ঢাকার কানুনগো মো. আব্দুল কাদের।