কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
কুলাউড়ায় এ পর্যন্ত পাঁচ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তবে সবাই চিকিৎসা নিয়ে বড়ি ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল হক। ১৭ আগষ্ট শনিবার সরেজমিনে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে এতথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। এ সময় উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ হিঙ্গাজিয়া এলাকার কায়েস আহমদ ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত সবাই ঢাকায় বসবাস করেন। ঈদে বাড়ি ফেরার পর জ্বর ও মাথাব্যাথা হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন তারা। পরে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ সনাক্ত হওয়ায় চিকিৎসাপত্র নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে এর মধ্যে রোগীদের শরীরে অস্বাভাবিক কিছু হলে আবার চিকিৎসকের কাছে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগে শনাক্ত রোগীরা হলেন পৌরশহরের ১নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেম মজুমদার, কর্মধা ইউনিয়নের দোয়ালগ্রাম এলাকার মাহমুদুল হাসান (২৮), জুড়ি উপজেলার হামিদপুর এলাকার আবু সালেহ (২৭), পৌর শহরের চাতলগাঁও এলাকার ওয়াহিদা আক্তার ও কুলাউড়ার দক্ষিণ হিঙ্গাজিয়া এলাকার কায়েস আহমদ (১৮)।
ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে কর্মরত মাহমুদুল হাসান বলেন, গত ২৮ জুলাই ঢাকার পিজি হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করি। ওই সময় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হই। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনিত হলে গত ৬ আগষ্ট কুলাউড়ায় আসি। এখানেও অবস্থার অবনতি হলে কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। বর্তমানে কিছুটা সুস্থতা বোধ করছি।
এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল হক বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আমরা আলাদা সেল গঠন করেছি। আমার তত্ত্বাবধানে এসব দেখাশোনা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তবে তারা কেউ কুলাউড়ায় থেকে আক্রান্ত হননি। সবাই ঢাকা থেকে আগত। আপাতত ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। তবে রোগীর কোনরকম সমস্যা হলে হাসপাতালে আসার পরামর্শ দিয়েছি।