ষ্টাফ রিপোর্টার :
ঈদের দিন নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বসেছে কোরবানির মাংসের ভ্রাম্যমান হাট। এসব হাটের বিক্রেতারা হলেন ভিক্ষুক কিংবা অস্বচ্ছল মানুষ। এসব বিক্রেতারা সারাদিন নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে মাংস সংগ্রহ করেছন। বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন একদিনের কসাই যারা কোরবানির পশু কেটেকুটে বখশিস হিসেবে মাংস পেয়েছেন। আবার অনেকেই স্বচ্ছল আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পাওয়া মাংস টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করেছেন।
এই ভ্রাম্যমাণ মাংসের হাটের মূল ক্রেতা সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষ ও হোটেল ব্যবসায়ী। কম দামে মাংস কিনতে পেরে সন্তুষ্টি দেখা যায় তাদের চোখে-মুখে। গত সোমবার ১২ আগষ্ট ঈদুল আজহার দিনে নগরী ঘুরে দেখা গেছে একই ধরণের চিত্র। পাড়া-মহল্লা, বাজার, ফুটপাত জুড়ে যে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই বসে গেছেন মাংস নিয়ে। তবে পেশাদার কোনও মাংস ব্যবসায়ী এ হাট বসাননি। মৌসুমি কসাই, দিনমজুর, দুস্থ্, ভিখারি-গরীব, শিশু যারাই কিছু মাংস জোগাড় করতে পেরেছেন, তা নিয়েই বসে গেছেন বিক্রি করতে। যারা আজকের দিনে শ্রম বিক্রি করেছেন, কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে মাংস পেয়েছেন, তারাইএ মাংসের হাট বসিয়েছেন। মাংস বিক্রেতা হিসেবে কিছু শিশুকেও দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, নগরীর বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গরু জবাই ও মাংস প্রস্তুতের বিভিন্ন কাজ করা কসাইরাও বখশিশ হিসেবে পাওয়া মাংস বিক্রি করে দেন।
নগরীর জেলরোড, বন্দরবাজারের বিভিন্ন স্থান, জিন্দাবাজার, সুরমা পয়েন্ট, হাউজিং ষ্টেইট গলির ভেতর, জালালাবাদ আবাসিক এলাকার মুখে, আম্বরখানা পয়েন্ট, দরগামহল্লা, সুবিদবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পলিথিনের প্যাকেটে কিংবা খোলা অবস্থায় ভাগ করে মাংস সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এই এক ভাগ মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। এসব ভ্রাম্যমান হাটের ক্রেতারা মূলত নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। তবে নগরীসহ আশপাশ এলাকার বিভিন্ন হোটেল থেকে এসব মাংস কিনতে দেখা যায়।
বিক্রেতাদের অনেকে জানালেন, সারাদিন ঘুরে ৩-৪ কেজির মত মাংস সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু এসব মাংস রাখার জায়গা না থাকায় কিংবা কিছু টাকা লাভের জন্যই সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করে দেন তারা।