স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহপাঠির হামলায় এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর আলমপুরস্থ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কোনাচর দক্ষিণভাগ পলিকাপন গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র তানভির হোসেন তুহিন (১৯)। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আলমপুর গ্রামের আব্দুল আলিমের পুত্র আবু কুতরত তায়েফ (১৬) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিহত তুহিন ছিল কম্পিউটার বিষয়ে শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল বুধবার সকালে সে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কম্পিউটার প্রশিক্ষণে যায়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থানে তার জুতা রেখে কম্পিউটার ল্যাবে প্রবেশ করে। প্রশিক্ষণের এক পর্যায়ে ল্যাব থেকে বের হয়ে এসে দেখতে পায় তার জুতার স্থানে অন্য একজোড়া জুতা রাখা। কিছুক্ষণ পর সে দেখতে পায় তার জুতা অন্য একজন প্রশিক্ষণার্থীর পায়ে। এ সময় তুহিন তাকে বলে তোমার পায়ের জুতা আমার। এ নিয়ে উভয়ে মধ্যে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি অধ্যক্ষের কানে গেলে তিনি জুতা তুহিনের ছিল বলে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করে দেন। এরপর তুহিন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাইরে আসার সময় তুহিনের সাথে বাকবিতন্ডাকারী শিক্ষার্থী আরো কয়েকজন যুবককে নিয়ে তুহিনের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় তুহিন মারাত্মক আহত হন। গুরুতর আহত তুহিনকে উদ্ধার করে তার সহপাঠীরা সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তার অবস্থা অবনতি হলে দুপুর দেড়টায় তাকে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তানভির হোসেন তুহিনের সাথে জুতা নিয়ে কামরান নামে এক শিক্ষার্থীর বাকবিতন্ডা হয়। বিষয়টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মীমাংস করে দেন। পরে কামরান তার সহপাঠীদের নিয়ে তুহিনের উপর হামলা চালায়। হামলায় তুহিন গুরুতর আহত হয় এবং ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আর আটক আবু কুতরত তায়েফকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনার প্রধান আসামী কামরানকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।