কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার মৌলভীবাজারে একটি আগর শিল্পপার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রপ্তানি বাজারে আগর শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এ পার্ক স্থাপন করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরাস্থ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (স্কিট) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পখাতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সাফল্যের কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির ফলে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ঢাকা শহর থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরাতে কাজ করছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শিল্প কেমিক্যাল কারখানাগুলো অচিরেই সরিয়ে নেওয়া হবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার হাজারিবাগ থেকে সাভার চামড়া শিল্পনগরিতে ট্যানারি স্থানান্তরে সক্ষম হয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের একটি বড় অর্জন।
আমু বলেন, বাংলাদেশের চামড়া শিল্প নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার পরও এ খাতে রপ্তানি বাড়ছে। পাদুকা উৎপাদনে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বিশ্বে অষ্টম স্থান দখল করেছে। ভবিষ্যতে চামড়া শিল্পখাতে রপ্তানির পরিমাণ তৈরি পোশাক শিল্পখাতকে ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ওষুধ, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল এবং কেমিক্যাল শিল্পখাতের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে তৎপর হতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সবুজ শিল্পায়নের ধারা জোরদারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাঙ্খিত লক্ষ অর্জনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এলাকাভিত্তিক কাঁচামাল ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর নীতি গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে যেখানে বিসিক শিল্পনগরি নেই, সেখানে বিসিক শিল্পনগরির জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে। ফলে এলাকাভিত্তিক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পায়ন কার্যক্রম জোরদার হবে।
তিনি আরো বলেন, বরিশালে দুইটি চামড়া শিল্পকারখানা অচিরেই গড়ে তোলা হবে। এছাড়া সিরাজগঞ্জেও বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে পর্যায়ক্রমে বিসিক জোন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১২৯টি দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করছে। আমাদের দেশের তৈরি প্লাষ্টিক শিল্প ও পণ্যগুলো দেশে-বিদেশে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে।
