কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রবিবার দিবাগত রাত ১টায় শমশেরনগর লামানাজার এলাকা থেকে পুলিশ দুই ডাকাতকে আটক করে। আটক দুই ডাকাতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার পর এক ডাকাতকে সোমবার সকালে মৌলভীবাজারের আদালতে প্রেরণ করা হয়। অন্য ডাকাতকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আটক দুই ডাকাত হচ্ছে রাসেল আহমদ (২২) ও সেজু মিয়া (২৩)। ডাকাত রাসেলের বাড়ি আলীনগর ইউনিয়নের জালালিয়া গ্রামে ও সেজু মিয়ার বাড়ি শমসেরনগর ইউনিয়নের সতিঝির গাঁও।
স্থানীয় ও কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত ১টায় শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আনজির আহমদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল স্থানীয় লামা বাজার (পশ্চিম বাজার) এলাকা থেকে রাসেল আহমদ ও সেজু মিয়াকে আটক করে। আটককৃতরা আরও কিছু আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্যদের নিয়ে এ রাতেই বড়চেগ গ্রামের এক ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করছি। এর পর শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি ও কমলগঞ্জ থানার পুলিশের সমন্বয়ে একটি দল রবিবার রাত ২টা থেকে বড়চেগ গ্রামের আমদানি রপ্তানিকারক তাসদিক হোসেন (এমরান)-এর বাসায় ভোর রাত ৫টা পর্যন্ত পাহার দেয়।
ব্যবসায়ী তাসদিক হোসেন বলেন, রোববার রাত ২টায় পুলিশ সদস্যরা তার বাসায় আসে। তাদের কাছ থেকেই এ ডাকাতরি পরিকল্পনার কথা তিনি জানতে পারেন। ভোর ৫টা পর্যন্ত পুরিশ সদস্যরা তার বাসায় পাহারা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
অন্য দিকে আটক দুই ডাকাতকে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সম্প্রতি শমশেরনগর চা বাগানের দুটি ও আলীনগর চা বাগানের একটি বাসায় ডাকাতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয় তারা। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আটক দুই ডাকাতের সাথে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের একটি সম্পর্ক রয়েছে। আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের নিয়ে এসে দুই এক দিন আগে একটি বাসা চিহ্নিত করে পরে পরিকল্পনা মাফিক সে বাসায় ডাকাতি করা হতো।
আটক ডাকাত সেজু মিয়াকে সোমবার সকালে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী গ্রহণ করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে আটক রাসেল আহমদকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমলগঞ্জ থানায় আটক রাখা হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান দুই ডাকাত আটক করে একজনকে আদালতে প্রেরণের সত্যতা ও ডাকাতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওযার সত্যতা নিশ্চিত করেন। অন্য ডাকাতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান ওসি।