কে. এম. লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে ২য় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে গোয়াইনঘাটের পিয়াইন ও সারী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়নেই পানি বেড়ে গিয়ে অধিকাংশ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার বন্যার পানিতে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিকে গতকাল শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও খোঁজে পাওয়া যায়নি।
গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত উপজেলার পূর্ব জাফলং, পশ্চিম জাফলং, আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, ডৌবাড়ি, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর বন্যায় প্লাবিত হয়ে অপরিবর্তিত আছে। এখনও কোথাও পানি কমতে শুরু করেনি। এতে করে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাটও তলিয়ে গেছে। ফলে উপজেলা সদরের সঙ্গে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এক রকম বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়াও হাওর, বাওর ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন কয়েক হাজার পানি বন্দি মানুষ। এদিকে পানি বাড়ার সাথে সাথে সিলেটের বৃহত্তর দু’টি পাথর কোয়ারি বন্দ রয়েছে। বসতভিটা এবং দোকানঘরে পানি ওঠায় দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকেই। একই সাথে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পাঠদান ব্যহত রয়েছে। বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যতাায়াতে এক ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অনেক পথচারিদের।
উপজেলার লাখেরপার এলাকার বাসিন্দা ব্যবাসয়ী সামাদ আহমেদ (২৫) জানান, গত কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টির কারণে আমাদের এলাকায় পানি ডুকে বসতভিটায় ও রাস্তাঘাটে পানি উঠেছে। রা¯স্তঘাটে পানি উঠার ফলে এক ধরনের ভোগান্তিতে জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, ‘উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক দিক মনিটরিং করা হচ্ছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষয়-ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে প্রয়োজনীয় আরও ত্রাণ সামগ্রীর জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বার্তা পাঠানো হবে’ বলে তিনি জানান।