স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রোগ্রামের paid peer volunteer নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত চূড়ান্ত তালিকা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের হাসিনা বেগম। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ দাবি জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পান্না আক্তার।
তিনি বলেন, ‘৮১ টি পদের জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন থেকে মোট ৬৬৫ জন মহিলা আবেদন করেন। নিয়োগ কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ সদস্য বিশিষ্ট। কমিটির সভাপতি ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ, সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাদিক মিয়া, অন্যান্য সদস্যরা হলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. রেহান উদ্দিন এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. তাসলিমা বেগম।
তিনি বলেন, ‘নিয়োগে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থাকলেও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের সময় প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি মো. ফারুক আহমদ ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাদিক মিয়া পরীক্ষা গ্রহণ করেন। ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিত না রেখে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণকালে পরীক্ষার্থীরা নানা প্রশ্ন করেছিল। তখন নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে লম্বা লম্বা সচ্চতা ও জবাবদিহিতামূলক বক্তব্য রেখে শান্তনা দিয়েছিলেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের জনৈক কর্মচারী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী হাসিনা বেগম, স্বপ্না বেগমসহ আরো অনেকের কাছে উক্ত পদে নিয়োগ পেতে তাকে আর্থিক সুবিধা প্রদানের জন্য বলেছিলেন। ২৭ জুন মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্ত সুপারিশকৃত তালিকা প্রকাশের পর তাদেরকে টাকা দেওয়ায় উক্ত মহিলাদের চাকুরী হয়নি। এছাড়া নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাদিক মিয়া সরাসরি তার কার্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীর স্ত্রীদেরকে চাকুরী প্রদান করেন। তাদের মধ্যে প.প.পরিদর্শক নুর আহমদের স্ত্রী এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ গোয়াইনঘাটের হিসাব সহকারী শিবেন নাথের স্ত্রী উল্লেখযোগ্য।’ এছাড়া উপজেলার বাহির থেকে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে জবা রানী নাথ, সুনিতা রানী দাস, হাসনা বেগমসহ আরো ১০/১২ জন সুপারিশকৃত চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ পায়। এছাড়া অপেক্ষমান তালিকায় তোয়াকুল ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামের মুসলিম মেয়ে হাসনা বেগমের স্বামীর নাম প্রহলাদকুমার দাস দেওয়া হয়। এটাই প্রমাণিত হয় আর্থিক লাভবান হয়ে তড়িগড়ি করে তালিকা প্রকাশ করায় পুনরায় দেখার সুযোগ হয়নি। তিনি নিয়োগে সুপারিশকৃত চুড়ান্ত তালিকাটি জরুরি বাতিলের দাবি করেন। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ এম.পি’র হস্তক্ষেপও কামনা করেন।