কাজিরবাজার ডেস্ক :
আজ শুরু হচ্ছে হজ্ব ফ্লাইট। সকাল সোয়া সাতটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের প্রথম ফ্লাইট বিজি- ৩০০১, ৪১৯ জন হজ্বযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যাবে। আজ আরও চারটি ফ্লাইট বিজি-৩১০১ বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে, বিজি-৩২০১ বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে, বিজি-৩৩০১ রাত ৭টা ১৫ মিনিটে এবং সিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ৮টা ১৫ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে। এ জন্য বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ্বযাত্রীদের যথাযোগ্য মর্যাদায় অভ্যর্থনা জানিয়েছে বিমান। গভীর রাতেই তাদের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১৬নং বোর্ডিং গেটের কাছে স্থাপিত সৌদি ইমিগ্রেশন সেন্টারে আগাম ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন শুরু হয়। আজকের উদ্বোধনী ফ্লাইটের কাজ শুরু হয় বুধবার সন্ধ্যায় আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে।
আল্লাহর মেহমানদের সর্বোচ্চ সম্মান, মর্যাদা ও সেবা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সব আয়োজন প্রস্তুত করেছে বিমান, সিভিল এভিয়েশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়। সাজ সাজ রবে ব্যস্তময় হয়ে উঠেছে আশকোনা হজ্ব ক্যাম্প। প্রথম ফ্লাইটের সব যাত্রীই সরকারী ব্যবস্থাপনার (ব্যালটি)। এ বিষয়ে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে এবারের হজ্ব হবে অত্যন্ত সুষ্ঠু, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও গতিশীল। কেননা এবার হজ্ব ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। তার মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকায় আগাম সম্পন্ন করার বিশেষ ব্যবস্থা। এতে হজ্বযাত্রীদের দুর্দশার অবসান ঘটবে।
জানা গেছে, এবারই প্রথম জেদ্দার ইমিগ্রেশন আগাম ঢাকায় সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ জন্য সৌদির একটি উচ্চ পর্যায়ের কারিগরি ও ইমিগ্রেশন টিম ঢাকায় এসে কাজ শুরু করেছেন।
এখানে হজ্বযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য আগাম একত্র করে দিতে সৌদির একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কোম্পানি শতাধিক জনবল নিয়ে ২০টি বুথে ইতোমধ্যে হজ্ব ক্যাম্পে কাজও শুরু করেছেন। হজ্বযাত্রীদের সব তথ্য প্রোফাইল আকারে সৌদি ইমিগ্রেশনে পাঠানো শুরু করেছেন তারা। তাকাতুম নামে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কোম্পানির প্রজেক্ট ইনচার্জ ইয়াসিন মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ চৌধুরী জানান, হজ্বযাত্রীদের বিড়ম্বনা কমাতে তাদের এখানে রিক্রুটমেন্ট দেয়া হয়েছে। এখানকার কর্মীরাই হজ্বযাত্রীদের বায়োমেট্রিক সব ডাটার প্রোফাইল তৈরি করে দিচ্ছে। মূলত আমাদের পাঠানো প্রোফাইল দেখেই তিন মিনিটে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। মোট ২০টি বুথ বসিয়েছেন তারা। শতাধিক কর্মী সেখানে কাজ করছেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তারা প্রোফাইল বানানোর কাজ শুরু করেছেন। মোট ৭০ হাজার হজ্বযাত্রীর প্রোফাইল বানানো হবে। গত দুই দিনে হাজার খানেক হজ্বযাত্রী প্রোফাইল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
সরজমিনে পরিদর্শনের সময় দেখা যায়- হজ্ব ক্যাম্পের নিচতলায় পূর্বপাশের একটি কক্ষে চালু করা ইনিশিয়েটিভ বুথে প্রোফাইল বানাতে এসেছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অর্থপেডিক বিভাগের প্রধান শাহ জাওয়াহর জাহান কবর। বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টায় তিনি বিজি-৩০০১ ফ্লাইটে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দেবেন। তাই একটু আগেই প্রাফাইল তৈরি করতে এসেছেন। তার এ কাজে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় লেগেছে।
এ বছর সরকারী-বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৮ জন পবিত্র হজ্ব পালন করবেন। তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬০ থেকে ৬৫ হাজার হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালাল বিমানবন্দরে সম্পন্ন হবে। এ বছরই প্রথমবারের মতো সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে হচ্ছে। ফলে জেদ্দা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য এহরামের পোশাক পরিহিত অববস্থায় হজ্বযাত্রীদের ৮-১০ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো, তা করতে হবে না। বিমানবন্দরে সৌদি আরব অংশের এই ইমিগ্রেশনে সময় কতটুকু লাগতে পারে, তা জানার জন্য হজ্বযাত্রী, তাদের স্বজন, এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। এ বিষয়ে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে- ঢাকায় সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে হজ্বযাত্রী প্রতি সময় লাগবে মাত্র তিন মিনিট। ইতোমধ্যে সৌদি ইমিগ্রেশনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে মোট ১৫টি কাউন্টার খোলা হয়েছে। যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য বসার চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম বছর হিসেবে এবার বিমান ও সৌদিয়া- দুই এয়ারলাইন্স মিলিয়ে ৬০-৬৫ হাজার হজ্বযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালালে হবে। এর মধ্যে সরকারী ব্যবস্থাপনার ৭ হাজার ১৯৮ জনের সবারই সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালালেই হবে। বুধবার সরজমিনের বিমানবন্দর পরিদর্শনে দেখা গেছে- সৌদি অংশের আগাম ইমিগ্রেশন করার জন্য শাহজালালের একটি অংশ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পৃথক একটি বোর্ডিং ব্রিজও রাখা হয়েছে। যেসব হজ্বযাত্রীর সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালাল বিমানবন্দরে হবে, সেসব যাত্রীকে প্রথমে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন আশকোনা হজক্যাম্পে সম্পন্ন হবে। পরে বিমানবন্দরে গিয়ে সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন করতে হবে। এসব হজ্বযাত্রীকে কমপক্ষে ৮-১০ ঘণ্টা আগে আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে রিপোর্টিং করতে হবে। আশকোনায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে হজ্ব যাত্রীরা এয়ারলাইন্সের বিশেষ বাসযোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন কেন্দ্রে যাবেন। বিমানের প্রতিটি ডেডিকেটেড ফ্লাইটে মোট ৪১৯ জন যাত্রী পরিবহনের কথা। সে অনুযায়ী, ১৫টি কাউন্টারে ৪১৯ জন যাত্রীর প্রত্যেকের তিন মিনিট করে ইমিগ্রেশন করতে মোট ১ ঘণ্টা ২৩ মিনিট সময় লাগবে। তবে এই সুবিধা এবার সব হজযাত্রী পাচ্ছেন না। এজন্য সৌদি সরকারের বিভিন্ন নিয়ম ছাড়াও একই সময়ে বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সসহ একাধিক ফ্লাইট সিডিউল থাকায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে- সাধারণত যে ইমিগ্রেশন জেদ্দা এয়ারফোর্টে পৌঁছার পর হতো, সেটা এবার প্রথমবারের মতো ঢাকায় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা মিক্সড ফ্লাইটে বা সিডিউল ফ্লাইটে সৌদি আরব যাবেন, তারা এ সুবিধা পাবেন না। এছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে যেসব হজ্বযাত্রী সৌদি আরব যাবেন, তারাও এ সুবিধা পাবেন না। তবে, প্রথম বছরই প্রায় ৬৫ হাজার হজ্বযাত্রীর সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকার শাহজালালে করা সম্ভব। যারা ঢাকা থেকে সরাসরি ডেটিকেটেড ফ্লাইটে সৌদি যাচ্ছেন, এমন হজ্বযাত্রীদের বড় একটি অংশ এ সুবিধা পাবেন। জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, এবারের ডেডিকেটেড ফ্লাইটে হাজির সংখ্যা ৯০ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ৭০ হাজার ৫০২ জনের সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন সুবিধা শাহজালাল থেকেই নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালালে করার যে প্রক্রিয়া চলছে, তার তদারকি করছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হজ্ব) এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। সৌদি অংশের ইমিগ্রেশনের জটিলতা, বাধা-বিপত্তি নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন-দুই ধরনের ফ্লাইটে যাত্রীরা হজ্ব করতে যাবেন। একটি ফ্লাইট হচ্ছে চার্টাড বা ডেটিকেটেড ফ্লাইট, আরেকটি হচ্ছে মিক্সড ফ্লাইট। মিক্সড ফ্লাইটে হজযাত্রীরা ছাড়াও অন্য যাত্রী থাকেন। এসব ফ্লাইট আমাদের তালিকায় কখনও ছিল না। একই সময়ে দুটো ডেটিকেটেড ফ্লাইট পড়ে গেলে বা বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের দুটো ফ্লাইট একই সময়ে পড়ে গেলে তখন তো এই দুটি ফ্লাইটের যাত্রীর ইমিগ্রেশন শেষ করা সম্ভব হবে না। এ ধরনের কিছু সিস্টেমের কারণে এবার কিছু হজযাত্রী সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন সুবিধা শাহজালালে পাবেন না। সৌদি এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরই আগের মতোই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করতে হবে তাদের। তবে এটা কোন সমস্যা বা জটিলতা নয়। এটা সিস্টেমের কারণে হচ্ছে। যেসব হজ্বযাত্রী সৌদি এয়ারলাইন্সের মিক্সড ফ্লাইটে যাবেন, তারা এ সুবিধা পাবেন না। তাদের আমি জোর করেও এখানে আনতে পারব না। আবার চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে যেসব হজ্বযাত্রী যাবেন, তাদের ইমিগ্রেশনও হবে সৌদি এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনে। এ বছর এ প্রক্রিয়া শুরু করলাম। ভবিষ্যতে সব হজ্বযাত্রীর ইমিগ্রেশন এখানেই সম্পন্ন করা যাবে।
এদিকে সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন সম্পন্নকারী হজ্বযাত্রীদের ফ্লাইট সিডিউল অনুযায়ী কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আগে রাজধানীর আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে যেসব হজ্বযাত্রীর সৌদি আরবের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করবেন- তাদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ৪ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লাইটের যেসব যাত্রী সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করবেন- তাদের সৌদি আরবের প্রি-এ্যারাইভাল ইমিগ্রেশনের আগে বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য সময় লাগবে বেশ। ইমিগ্রেশনের পূর্বে প্রত্যেক হজ্বযাত্রীর হাতের ১০ আঙুলের ছাপ গ্রহণ, পাসপোর্ট স্ক্যান ও ছবি উঠানো, লাগেজের নির্দিষ্ট রঙের স্টিকার লাগানো, ঢাকা হজ্ব ক্যাম্পে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভ্রমণকারী হজ্বযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন, বিমানবন্দরের মুলটানি মিনালে সৌদি আরবিয়ান এয়ারলাইন্সের ভ্রমণকারী হজ্বযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও সর্বশেষ বিমান ১১ নম্বর গেটে স্থাপিত সৌদি আরবের প্রি-এ্যারাইভাল ভেরিফিকেশন কাউন্টারে সৌদি ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এসব কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করার সুবিধার্থে বিভিন্ন হজ্ব ফ্লাইটের যাত্রীদের বিমানযাত্রার কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা পূর্বে আবশ্যিকভাবে ঢাকা হজক্যাম্পে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আশকোনা হজ্ব অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে ফ্লাইট সিডিউল অনুযায়ী হজ্বযাত্রীদের যথাসময়ে হজ্ব ক্যাম্পে উপস্থিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় হজ্বযাত্রীদের যাত্রা ব্যাহত হতে পারে। কোনো কারণে ফ্লাইট সিডিউল পরিবর্তন হলে তা যথাসময়ে অবহিত করা হবে।
হজ্বযাত্রীদের লাগেজ নিরাপদে হোটেলে বা রুমে পৌঁছে দেয়ার বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি বলেছেন- অতীতে কি ঘটেছে না ঘটেছে হজ্ব ফ্লাইট নিয়ে তা স্মরণ করিয়ে কাউকে হেয় বা বিব্রত করতে চাই না। কিন্তু এবার হজ্ব ফ্লাইট অপারেশনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন আর কেউ চাইলেই তার ইচ্ছা বা খেয়ালখুশিমতো ফ্লাইট বাতিল করতে পারবে না। সেজন্য আগাম ইতোমধ্যে হজ্বের টিকিট প্রায় সবই বিক্রি হয়ে গেছে। এটা অবশ্যই একটা বড় অর্জন বা সফলতা। একইভাবে হজ্বযাত্রীদের লাগেজ নিয়েও জেদ্দায়, মক্কা মদীনায় কোন ধরনের বিড়ম্বনা পড়তে হবে না। বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের প্রত্যেকের হোটেল বা রুমে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬৩ হাজার ৫৯৯ হজ্বযাত্রী পরিবহন করবে। মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজ্বযাত্রীর মধ্যে বাকি হজ্বযাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স। দুই মাসব্যাপী হজ্ব ফ্লাইট পরিচালনায় সিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে রয়েছে ৩০৪টি ডেডিকেটেড এবং ৬১টি সিডিউল ফ্লাইট। ৫ আগষ্ট পর্যন্ত ‘প্রি-হজ’-এ মোট ১৮৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ডেডিকেটেড-১৫৭টি এবং সিডিউল ফ্লাইট ৩২টি। পোস্ট-হজে ১৪৭টি ফ্লাইট চলবে ১৭ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যার মধ্যে ডেডিকেটেড ১১৮টি এবং সিডিউল ২৯টি। বাংলাদেশ থেকে মদিনায় ১৮টি ও মদিনা থেকে বাংলাদেশে ১৫টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।