দিরাইয়ে বৈশাখী বাঁধ ভেঙে ৪ হাজার হেক্টর বোরো ফসল পানির নিচে

5

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
২২ গ্রামের কৃষক নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ও অবশেষে রক্ষা করতে পারলেন না চাপতি হাওরে তাদের রোপণ করা কষ্টের সোনালী ফসল। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে কালনী নদীর পারের বৈশাখী বাঁধ ভেঙে জগদল, তাড়ল ও করিমপুর ইউনিয়নের কৃষকদের চোখের সামনেই তলিয়ে যায় স্বপ্নের ফসল। বাঁধটি এখনোও নদীর পানির থেকে অনেক উঁচু থাকার পরেও কেন ক্লোজারটি ভেঙ্গে গেলো এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তারা মনে করেন সঠিক সময়ে কাজ শুরু না করে শেষ সময় এসে তাড়াহুড়া করে বাঁধের কাজ করায় পানির ধাক্কায় ভেঙ্গে যায় বাঁধটি।
একমাত্র বোরো ধান হারিয়ে পাগল প্রায় একাধিক কৃষক জলভরা চোখে বলেন, পিআইসি, পাউবো এবং সরকার দলীয় কিছু অসাধু, দুর্নীতিবাজদের কারণে কোনো বছরই সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে বাঁধের কাজ শুরু এবং শেষ হয়নি। এবার ও এমনটা হয়েছে। অধিকাংশ বাঁধে নিম্ন মানের কাজ হয়েছ, যার কারণে নদীর পানি বাড়তেই অধিকাংশ বাঁধে ফাটল ও ধস নেমেছে। আমরা অনেক টাকা কর্জ এবং হাওলাত করে জমি করেছি, এখন কি দিয়ে তাদের টাকা দিব এবং নিজের পরিবার নিয়ে চলব একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।
চাপতি হাওরপারের কৃষক আকিক মিয়া বলেন, আমি আরেক জনের ৭ কেয়ার জমিন হাজা করেছিলাম, আমি নিজে কষ্ট করেছি আরও ২২/২৩ হাজার টেকা খরচ করেছি। কালকে বৈশাখীর বান ভাঙ্গিয়া আমার হকল জমিন পানির তলে গেছেছি। আগামী এক বছর পোয়াপুরি লইয়া কিলা চলমু। আমি চাইরোবায় আন্দাইর দেখতাছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি মাহামুদুর রহমান মামুন বলেন, সবাই মিলে চেষ্টা করে ও বৈশাখী বাঁধ রক্ষা করা গেল না। বাঁধ ভেঙে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া তুফান খালি, বোয়ালিয়া সহ বাকি বাঁধ গুলোর এখানো ভালো। উপজেলা প্রশাসন, পাউবো এবং সর্বস্তরের জনজন সাধারণ বাঁধ রক্ষায় কাজ করছেন।