কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিদ্যমান ব্যবস্থায় সারাবছর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। তবে এবার ভোট গ্রহণের এ সময়ে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দিনের ব্যাপ্তি বিবেচনা করে বছরকে ২ ভাগে বিভক্ত করে ১ ঘণ্টা আগে-পিছে ভোটগ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতি বছর মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত গ্রীষ্ম মৌসুমে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এবং নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শীত মৌসুমে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় থেকে স্থানীয় সরকার সব ধরনের নির্বাচনে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।
বিষয়টি ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘গ্রীষ্মকালে দিন বড় থাকায় ভোটারদের সুবিধার্থে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। আর অন্য সময় আগের মতো ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভোট হবে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে জানিয়ে দিয়েছি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কমে গেছে। সর্বশেষ উপজেলার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। এ পরিস্থিতিতে ভোটের সময় পেছালে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে মনে করছে ইসি। এতে রাতে ব্যালটে সিল মারার প্রবণতা কমে আসবে বলেও মনে করছেন ইসির কোনও কোনও কর্মকর্তা।
সম্প্রতি ভোটের সময় পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ইসি সচিবালয়। ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে বলা হয়েছে, জনসাধারণের ভোটদানের সুবিধার্থে গ্রীষ্মকালীন (প্রতিবছর মে-অক্টোবর পর্যন্ত) সময়ে অনুষ্ঠিতব্য সব ধরনের (স্থানীয় সরকার পরিষদ ও অন্যান্য) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কমিশনের এ সিদ্ধান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রচারের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।