বাংলাদেশকে চাপে রাখল পাকিস্তান

17

স্পোর্টস ডেস্ক :
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছয় উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাবর আজম। এ জয়ের ফলে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বেড়ে গেল সরফরাজ আহমদদের।
বুধবার টসে জিতে পাকিস্তানকে ফিল্ডিং করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। সুযোগ দারণ কাজে লাগান পাকিস্তানি পেসাররা। শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মাদ আমিরদের পেসে নাজেহাল হয় নিউজিল্যান্ড। মাত্র ১২ ওভারে ৪৬ রান তুলে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর কেন উইলিয়ামসের ৪১, নিশামের ৯৭ ও সি ডি গ্রান্ডহোমনের ৬৪ রান করেন। ফলে ছয় উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানকে ২৩৮ রানের টার্গেট দেয় নিউজিল্যান্ড।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন ৩টি, আমির ও শাদাব একটি করে উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল পাকিস্তানও। ১০ ওভারে ৪৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পরে মোহাম্মদ হাফিজ সামাল দেন পরিস্থিতি। তিনি ৩২ রান করে আউট হন। এর পর বাবর আজমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি (১০১*) ও হারিস সুহাইলের ৬৪ রানে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
নিউজিল্যানেডর পক্ষে উইলিয়ামস ও ট্রেন্ট বোল্ট একটি করে উইকেট নেন।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিলো পাকিস্তানের জন্য অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই। কারণ হারলেই শঙ্কায় পড়ে যাবে তাদের সেমিফাইনালের টিকিট। অন্যদিকে এ ম্যাচে জিতলেই অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে পৌঁছে যেত কিউইরা।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের সঙ্গে এতোটা মিলে যাবে দেশটির এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা। প্রথম সাত ম্যাচ শেষে হুবহু সে বিশ্বকাপের মতোই ফলাফল পেয়েছে পাকিস্তান। যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে দেশটির সমর্থকদের মনের আশা।
এদিকে এ জয়ের ফলে সাত ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে ছুঁয়ে ফেলল তারা। সেমিতে যাওয়ার হিসেবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবস্থা এখন সমানে সমান। ইংল্যান্ড যদি পরবর্তী দুই ম্যাচ হারে আর বাংলাদেশ যদি দুই ম্যাচ জিতে তাহলে সেমিতে যেতে পারবে। একই অবস্থা পাকিস্তানেরও। সেমিতে যেতে হলে তাদেরও বাকি দুই ম্যাচ জিততে হবে, আর ইংল্যান্ডকে হারতে দুই ম্যাচ। আশঙ্কার বিষয় হলো পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশেরও একটি ম্যাচ রয়েছে। মাশরাফিরা পাকিস্তানকে হারাতে পারলেও বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি।