ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফি মুর্তজার অবদানের কথা কারও অজানা নয়। ২০১৪ দলে ভীষণ দুঃসময়ে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে তিনি বদলে দিয়েছেন জাতীয় দলকে। গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল আর এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলা মাশরাফির নেতৃত্বে। পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় তো আছেই।
শুধু অধিনায়কত্ব নয়, বল হাতেও বাংলাদেশের অনেক জয়ের নায়ক ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। অথচ সেই নায়ক ইদানীং সমালোচনায় বিদ্ধ। আগের দিন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ একহাত নিয়েছেন মাশরাফির সমালোচকদের। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তামিম ইকবালও।
শুধু মাশরাফি নয়, বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে ৫৯ রান করা তামিমের সমালোচনাও কম হচ্ছে না। বাংলাদেশের সেরা ওপেনার অবশ্য নিজেকে নিয়ে নয়, প্রিয় ‘মাশরাফি ভাই’কে নিয়ে বেশি চিন্তিত, ‘আমার কথা বাদ দিন, মাশরাফি ভাইয়ের কথা বলি। যারা মাশরাফি ভাইকে নিয়ে লিখছেন, তাদের একটু চিন্তা করা উচিত যে তারা কার সম্পর্কে লিখছেন, গত ১৫/১৬ বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার কতটা অবদান। অনেকেই বলছেন মাশরাফি ভাই নাকি আনফিট। ১০/১৫ বছর আগে এ কথা বলা উচিত ছিল তাদের। কারণ এই অবস্থা নিয়েই ১০ বছর ধরে খেলছেন তিনি।’
তামিমের মতে, বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ দেখে মাশরাফিকে মূল্যায়ন করার কোনও মানেই হয় না, ‘এই বিশ্বকাপে হয়তো তার পারফরম্যান্স খুব ভালো হচ্ছে না, আর অনেকেই এটাকে বড় করে দেখছেন। কিন্তু এমন একটা মানুষকে নিয়ে কথা হচ্ছে, যার হাত ধরে আমরা এখানে এসেছি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মাশরাফি ভাই বাংলাদেশের ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের জন্য যা করেছেন তাতে তাকে নিয়ে বিরূপ আলোচনা করা খুবই অন্যায়। তিনি যা পেয়েছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি তার প্রাপ্য।’
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচের পর অজিত আগারকার বলেছেন, মাশরাফিকে এখন একাদশের বাইরে রাখা উচিত। ভারতের সাবেক পেসারের এমন মন্তব্যে তামিম ভীষণ ক্ষুব্ধ, ‘বিদেশের সাবেক ক্রিকেটাররা মাশরাফি ভাইকে নিয়ে কমেন্ট করছেন। আমার প্রশ্ন, তারা জীবনে কী করেছেন যে একজন রানিং খেলোয়াড় সম্পর্কে এভাবে বলছেন। তাদের বোঝা উচিত তারা কার সম্পর্কে কথা বলছেন। একজন খেলোয়াড়ের জীবনে সুসময়-দুঃসময় আসবেই। আমার কাছে অবশ্য বিদেশের কে কী বললো তা একটুও গুরুত্বপূর্ণ নয়। ’