স্টাফ রিপোর্টার :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ভেজালবিরোধী অভিযান চালায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। মাসব্যাপী অভিযানে জেলা ও মহানগর এলাকায় মোট ৩৪৮টি মামলার বিপরীতে ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসনের মুখপাত্র (গণমাধ্যম) উম্মে ছালিক রুমাইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়। খাবারে মেশানো হয় ভেজাল এবং নিম্নমানের পণ্য বাজারজাত যাতে না হয়, এজন্য জেলা প্রশাসনের ৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও, এসিল্যান্ডরা অভিযান চালিয়েছেন।
মাসব্যাপী অভিযানে মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট ২৬ লাখ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে ভোক্তা অধিকারে দেওয়া ১৩৭টি মামলার বিপরীতে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা, নিরাপদ খাদ্য আইনে ২ লাখ টাকা, জবাই মাংস মাননিয়ন্ত্রণ আইনের ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা, পরিবেশ আইনে ৫০ হাজার টাকা, মোটরযান অধ্যাদেশ আইনে ৪১টি মামলার বিপরীতে ৩১ হাজার ১০০ টাকা, ইটভাটায় দু’টি মামলায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ট্রাভেলস এজেন্সি নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলার বিপরীতে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, মানবপাচারের ১১টি মামলার বিপরীতে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া জেলার সব উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১২৫টি মামলার বিপরীতে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা, হোটেল, রেস্তোরাঁ আইনে ১টি মামলায় ৫ হাজার টাকা, ধুমপানের দায়ে ১টি মামলায় ৫০০ টাকা, দণ্ডবিধি ১ হাজার ৮৬০ এর আওতায় ২ মামলায় ১ হাজার টাকা, মোটরযান অধ্যাদেশ আইনের ৩টি মামলায় ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এমনকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিভাগীয় ও জেলা অফিস সিলেট জেলা ও মেট্রো এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরো ৮৩টি মামলার বিপরীতে ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা আদায় করে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খান বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটিতে সিলেটে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ভ্রমণ পরিবেশ নিরাপদ স্বস্তিদায়ক করতে সবধরনের নিরাপত্তার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পর্যটন স্পটগুলোতে বহনে ব্যবহৃত নৌকা ভাড়াও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।