ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় নেই সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে

30

স্টাফ রিপোর্টার :
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে ট্রেনের টিকিটের জন্য বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় নেই সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে। ফলে দালালদের দৌরাত্ম্যও নেই তেমন। অথচ বিগত বছরগুলোতেও ঈদে আসন সংকটের কারণে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে যেতে হয়েছে ট্রেনে।
অথচ রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এখন টিকিটের আশায় অনেকে রেলওয়ে স্টেশনে রাত-দিন পার করেছেন লাইনে দাঁড়িয়ে, চাই টিকিট নামের সোনার হরিণ। এবার এর উল্টো চিত্র সিলেটে রেলওয়ে স্টেশনে। যাত্রী নেই, টিকিটের চাপও নেই। ঈদের আগে অনেকটা চাপহীন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, গতকাল শুক্রবার সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে ৪টি বুথে নেই দীর্ঘ সারি। হাতেগোনা যে কয়েকজন যাত্রী দেখা গেলো তারাও নিয়মিত ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করছেন।
এ বিষয়ে রেলওয়ে স্টেশনের সিএনএস’র কর্মকর্তা জহির হোসেন বলেন, ঈদের আগে সিলেট থেকে আর কত সংখ্যক যায়? বরং আসে বেশি। পর্যটকরাও ঈদের ছুটিতে সিলেটে ঘুরতে আসেন। লোকে লোকারাণ্য হয়ে ওঠে সিলেট। ফেরার পথে ভিড় থাকে বেশি। এ জন্য ঈদের পরবর্তী সময়ে টিকিট দিতে চাপ সামলাতে হয় বেশি। অবশ্য বিগত সময়গুলোতে ঈদের সময় মানুষের চাপ বেশি ছিলো, এবার তেমন নেই।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার কাজি শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবারের তুলনায় এবার ঈদের আগে টিকিট সংগ্রহের চাপ কম। অবশ্য ২৬ মে থেকে টিকিট দেওয়া শুরু হবে। ওই সময়ে বাড়তি চাপ থাকলে কোচ সংযোজন করা হবে। তবে ঈদে সিলেট থেকে যাত্রীদের চাপ কম থাকে বলে বিশেষ ট্রেন চালুর প্রয়োজন হয় না। আবার ঈদের পরে কর্মস্থলে ফেরা এবং সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ফেরার সময় টিকিট সংকট তৈরি হয়। তখন ট্রেনগুলোতে আলাদা কোচ সংযোগ দেয়া হয়। তিনি বলেন, সিলেটে থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে ৫টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এরমধ্যে ঢাকা রুটে কালনী এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেস। চট্টগ্রাম রুটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, উদয়ন এক্সপ্রেস। এছাড়া ডাকবাহী ট্রেন সুরমা মেইল এক্সপ্রেস ঢাকা রুটে ও জালালাবাদ এক্সপ্রেস আখাউড়া রুটে চলাচল করে।
স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম আরো বলেন, আগে ট্রেনগুলোতে কোচ সংযোগ কম ছিল। সাবেক অর্থমন্ত্রীর সুপারিশে ট্রেননগুলোতে আরো সংযোগ দেওয়া হয়। এখন সিলেট রুটে কালনী এক্সপ্রেস ১১টি কোচ নিয়ে চলাচল করে। এছাড়া পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন, পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস পাওয়ার কারসহ ১৬টি কোচ নিয়ে চলাচল করে।