কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে সরকারী ভাবে শুরুতেই ধান, চাল ক্রয়ে অব্যবস্থাপনা অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা ধান, চাল ক্রয়ের উদ্বোধনী স্থগিত করেছেন। যথাযথ ভাবে কানাইঘাট খাদ্যগুদাম অফিস কর্তৃপক্ষ কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং সংশ্লিষ্টদের ধান ক্রয়ের উদ্বোধনীতে সম্পৃক্ত না করায় কর্মকর্তাদের ভর্ৎসনা দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা। অনেক জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা এ নিয়ে তাদের ক্ষোভ ঝাড়েন।
জানা যায় সরকারী ভাবে সারা দেশে উপজেলা পর্যায়ে ধান, চাল ক্রয় অভিযান শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবার কানাইঘাট খাদ্যগুদাম অফিসের উদ্যোগে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল ক্রয়ের উদ্বোধনী ছিল। স্থানীয় প্রশাসন ধান, চাল ক্রয়ের উদ্বোধনী দিনে কৃষকদের জমায়েত করার নির্দেশনাও দেন খাদ্যগুদাম অফিসের কর্মকর্তাদের। কিন্তু‘ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুমিন চৌধুরী সকাল ১১টার পর নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা খাদ্যগুদাম অফিসে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান সেখানে যাদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে সেই কৃষকদের মোটেও উপস্থিতি নেই দেখে তারা ধান ক্রয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করেন। পরে বিকেল ৩টায় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান মুমিন চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানার উপস্থিতিতে সেখানে উপজেলা খাদ্যগুদাম অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় যথাযথ ভাবে উপজেলার সকল প্রকৃত কৃষকদের যে তালিকা কৃষি অফিস থেকে প্রদান করা হবে তা যাচাই বাছাই করে সরকারী ভাবে ৪/৫ দিন মধ্যে কোন ধরনের অনিয়ম দূর্নীতি ছাড়াই উপজেলায় ১৩৬ টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ২৬ টাকা ধরে ক্রয় অভিযান শুরু হবে। এ সময় সভায় উপস্থিত সদর ইউপির চেয়ারম্যান মামুন রশিদ, বড়চতুল ইউপির চেয়াম্যান মাওলানা আবুল হোসাইন, বানীগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ বলেন, কানাইঘাটে সরকারী ভাবে ধান, চাল ক্রয় করা হবে এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। খাদ্যগুদাম অফিস কর্তৃপক্ষকে জনপ্রতিনিধিদের ধান ক্রয়ের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান ক্রয় না করে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধের দাবী জানান। কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, খাদ্যগুদাম অফিসের কর্মকর্তারা পূর্বেও ধান, চাল ক্রয়ে অনিয়ম করেছেন। তারা কৃষকদের কাছ থেকে নানা অজুহাত দেখিয়ে ধান ক্রয় না করে সিন্ডিকেট চক্রের কাছে থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ধান ক্রয় করে থাকেন। প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের দাবী জানান তিনি। স্থানীয় সাংবাদিকরা খাদ্যগুদাম অফিসের কমিটিতে থাকলেও কর্মকর্তারা ধান, চাল ক্রয় সহ যে কোন কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ত করেন না। উপজেলা চেয়ারম্যান মুমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা ধান ও চাল ক্রয়ে কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট করতে দেওয়া হবে না বলে কঠোর ভাষায় বক্তব্য দেন।