ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলন করার অপরাধে বালু বোঝাই একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্ধ করা হয়েছে। পরে নৌকার মাঝি জামালগঞ্জের রফিকুল ইসলাম, আল-আমিন ও জামাল মিয়ার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে নৌকা ছেড়ে দেয়া হয়। গতকাল শনিবার সকালে পৌরশহরের তাতিকোনা-বৌলা এলাকায় সুরমা নদীতে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর আওতায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাপস শীল। জানা যায়, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র সুরমা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছে। শহরের বৌলা, তাতিকোনসহ মুক্তিরগাঁও ও কালারুকা এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বিআই ডব্লিউ ও হাইড্রোগ্রাফি সার্ট ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে তাতিকোনা, বৌলা এলাকায় সুরমা নদীর চর থেকে প্রতিদিন ৩০-৪০ হাজার ঘনফুট মাটি-বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এতে গ্রামটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশংকাসহ সরকার লক্ষ-লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে তাতিকোনা, বৌলাসহ গোটা এলাকা মারাত্মক নদী ভাঙ্গনের পড়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী। গত ২৪ এপ্রিল ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলনে জড়িত তাতিকোনা, বৌলা গ্রামের একজন শিক্ষকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ (ডকেট নং-৭৪৪) দিয়েছেন বৌলা গ্রামের মৃত আজমান আলীর পত্র মুহিবুর রহমান।