হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার এনাতাবাদ গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ঘর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এতে অন্তত ৫টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। হামলায় স্কুল ছাত্রীসহ প্রায় ২০ জন লোক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২জনকে আশংকাজন অবস্থায় সিলেট এমএ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় জুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ এড়াতে এনাতাবাদ গ্রামজুড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গতকাল রবিবার ভোরে কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার এনাতাবাদ গ্রামের জাহির আলী, রেজান উল্লাহ গংদের সাথে একই গ্রামের আব্দুর রহমান, তছু মিয়া ও দুরুদ মিয়া গংদের মধ্যে আধিপত্য বিন্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে রেজান উল্লাহ ও আব্দুর রহমানের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে রবিবার ভোরে আব্দুর রহমান, তছু মিয়া ও দুরুদ মিয়া লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জাহির আলী ও রেজান আলীর বাড়ী অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ৫টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সময় প্রায় ১ ঘন্টা ব্যাপী চলে এই তান্ডবলীলা। এতে স্কুল ছাত্রীসহ উভয় পক্ষের মহিলাসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে নগদ টাকা বিভিন্ন মালামালসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার লুটপাট করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই বাড়ির গৃহকর্তা রেজান উল্লাহ। এঘটনার পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এদিকে পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। হামলায় আহতরা হল, সাবাজ মিয়া (৫৫), কাদির মিয়া (৫০), আঃ ছালেক (৩০), দুরুদ মিয়া (৩০), রেহেনা বেগম (৪২), বানেছা বেগম (৪৫), মইন উদ্দিন (১৫), স্কুল ছাত্রী সালমা (১৪), আব্দুল কালাম (৫০), দিলদার (৩০), কুলসুম বেগম (৬০) ও সুলেমান মিয়া (৩০)।
এ নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। অভিযোগ দেয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।