কাজিরবাজার ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল থেকে অতি প্রবল রূপ নিয়েছে। এটিকে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম। এটি এখন ভারতের উড়িষ্যা উপকূলের অভিমুখে রয়েছে। এটি ১৭০ থেকে ২শ’ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি এই গতিতে স্থলভাগে পড়লে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে উড়িষ্যা উপকূলে আসার পরই এটি বাঁক নিয়ে দেশের সাতক্ষীরা ও সুন্দরবন অঞ্চলের ওপর আঘাত হানতে পারে। আগামী শনিবার নাগাদ এটি দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
এটি স্থলভাগে আসার পরে শক্তি কমে নি¤œচাপের পরিণত হয়ে বৃষ্টি ঝড়াতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের গতি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে চট্টগ্রাম বা কক্সবাজার এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতের আশঙ্কা খুব কম রয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফণি এতটাই প্রবল রূপ নিয়েছে যে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে আগামী তিন তারিখের মধ্যে উড়িষ্যা পার হয়ে পশ্চিম বাংলায় আঘাত হানতে পারে। ১ মে তারিখের পরে এটি উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ৩ অথবা ৪ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশে খুলনা সাতক্ষীরা ও সুন্দরবন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আগামী ৩ মে পশ্চিমবঙ্গে ফণি আঘাত হানতে পারে। যেতে উড়িষ্যা উপকূলে কাছাকাছি হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের উত্তরভাগ বাংলাদেশে সাতক্ষীরা সুন্দরবন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। তবে ঢাকায় যখন এটি আসবে তখন এটি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপ পরিণত হবে।