কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটের আবুল ফয়েজ নামে এক যুবক কে ভালো বেতনে চাকুরী দেওয়ার নাম করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে অনুমান ৬ মাস পূর্বে নিয়ে কোন ধরনের কাজ না দিয়ে সেখানের অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রাখার ঘটনায় ভিসা প্রদানকারী সহ তার পিতার বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপির জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুল হকের পুত্র আহমদ হোসাইন (৫৫) বাদী হয়ে তার পুত্র আবুল ফয়েজন কে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এগ্রিমেন্ট ভিসায় মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারন করে একই গ্রামের মৃত ফরমুজ আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ (৫৩) তার পুত্র কুয়েত প্রবাসী বর্তমানে দেশে অবস্থানরত ভিসা প্রদানকারী হারুনুর রশিদ (২৬) কে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার থানার এসআই সুরঞ্জিত তালুকদার কুয়েত প্রবাসী হারুনুর রশিদের বাড়ীতে গিয়ে অভিযোগের তদন্ত করেন। বাদী আহমদ হোসাইন তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তার ছেলে আবুল ফয়েজ কে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভিসা দিয়ে হারুন রশিদ ৬ মাস পূর্বে কুয়েত নিয়ে কথা অনুযায়ী তাকে সেখানে কাজ ও ধার্যকৃত বেতন-ভাতা না দিয়ে কোন ধরনের খোঁজ খবর রাখেনি। যার কারণে কুয়েতে গিয়ে তার পুত্র কাজ না পেয়ে অনাহারে অসহায় অবস্থায় এক ধরনের বন্দি অবস্থায় থাকে। এ ঘটনায় আহমদ হোসেন কুয়েত প্রবাসী হারুন রশিদের পিতা ভিসার টাকা গ্রহণকারী আব্দুল্লাহ এর বিরুদ্ধে এলাকায় সামাজিক ভাবে বিচার প্রার্থী হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাসী হারুন রশিদ ফয়েজ কে কুয়েতের অজ্ঞাত স্থানে আটক করে সম্প্রতি দেশে ছুটিতে চলে আসে। দেশে আসার পর আহমদ হোসাইন তার পুত্র আবুল ফয়েজ কে কুয়েত নিয়ে কথা অনুযায়ী কাজ, বেতন ভাতা প্রদান না করে প্রতারণার মাধ্যমে ৭ লক্ষ টাকা ভিসা বাবৎ গ্রহণ করে তার ছেলে কে কুয়েতে অজ্ঞাত স্থানে আটকের ঘটনায় থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার এসআই সুরঞ্জিত তালুকদার জানান সরেজমিনে আহমদের হোসেনের অভিযোগটি তিনি তদন্ত করেছেন। কুয়েত প্রবাসী অভিযোগের বিবাদী হারুন রশিদের পিতা আব্দুল্লাহ সহ অনেকের সাথে কথা হয়েছে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।