ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে রূপা রানী দাস (১৭) নামের এক যুবতীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে শহরের হাসপাতাল রোডস্থ মুজিবুর রহমান মালিকানাধীন একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে থানা-পুলিশ। সে শহরের হাসপাতাল রোডের মুজিবুর রহমানের বাসার ভাড়াটিয়া রাসেন্দ্র দাসের কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিতা-মাতা ধর্মান্তরিত হওয়ায় রূপা রানী দাস তার কাকা রিপন দাসের হাসপাতাল রোডের ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতো। এ বাসাতে থাকা অবস্থায় একই এলাকার কামাল মিয়ার পুত্র পাবেল মিয়া নামের এক যুবক রূপার সাথে গড়ে তুলে প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি রূপার পরিবারের লোকজন কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি। সম্প্রতি রূপার বিয়ের ব্যাপারে পারিবারিকভাবে আলোচনাও চলছিল। রবিবার বর পক্ষের লোকজন ছাতকে এসে রূপার বিয়ের দিনক্ষণ ধার্য করার কথা ছিল বলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়। এ খবরে শনিবার রূপাকে ডেকে নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করে প্রেমিক পাবেল। এ বিষয়টি নিয়ে পরিবারের লোকজনের গালমন্দও শুনতে হয়েছে রূপাকে। প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে নিজ বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে রূপা। সকালে রূপাকে বাথরুমে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের লোকজন। থানার এসআই দিলোয়ার ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
রূপার শরীরে বেশ ক’টি আঘাতের ছিহ্ন দেখা গেছে। রূপার লাশটি ঝুলন্ত থাকায় উপস্থিত লোকজনের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টিকে অনেকেই পরিকল্পিতি হত্যা বলে মনে করছেন। রূপার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রূপার মৃত্যুর সংবাদে রূপার প্রেমিক পাবেল গা ঢাকা দিয়েছে। রূপার মৃত্যুর জন্য প্রেমিক পাবেলই দায়ী। পাবেলের মানষিক নির্যাতনের জন্যই রূপা আত্মহত্যা করেছে বলে তারা মনে করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, ময়না তদন্ত ছাড়া কোনকিছুই বলা যাচ্ছে না।