ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে লম্পট মামা শ^শুর কর্তৃক বিধবা ভাগ্নে বৌকে (৩৭) জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই ধর্ষক লম্পট মামা শ্বশুর শফজুল মিয়াকে (৩৮) আটক করে। সে উপজেলার তাজপুর ইউপির ভাড়েরা গ্রামের মৃত আখলুছ মিয়ার ছেলে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লম্পট শফজুল ভাগ্নে বৌকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। এ সময় শফজুলের নিকট থেকে ভিকটিমকে ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির গ্রামতলা রোডের মদরিছ আলীর বাসায় এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা এই নারী বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে শফজুলকে আসামী করে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে ওসমানীনগর থানায় পৃথক দুটি (মামলা নং-১২ ও ১৩) দায়ের করেন। শুক্রবার সকালে নির্যাতিতা নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক শফজুলকে দন্ডবিধির ১৬৪ ধারায়জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ওসমানীনগর থানার ওসি এস এম আল মামুন জানান, উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির গ্রামতলা রোডের মদরিছ আলীর বাসাতে ভাড়া থাকতেন তিন সন্তানের জননী বিধবা ওই মহিলা। ঐ মহিলাকে বিগত প্রায় দুই বছর পূর্বে মামা শ^শুর শফজুল মিয়া সিলেট শহরের দরগা গেইট এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং এই নারীকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্রটি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এর পর থেকে এই ধর্ষণের ভিডিওটি মহিলাকে দেখিয়ে জিম্মি করে বিভিন্ন সময়ে শফজুল তাকে একাধিক ভার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার গোয়ালাবাজারের গ্রামতলা রোডের মহিলার ভাড়া বাসার রান্না ঘরে তাকে আবারো জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা নারী রাত ১১টার দিকে ওসমানীনগর থানায় এসে মামা শ^শুর কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ করলে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে শফজুলকে গোয়ালাবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।