সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও উৎসবমুখর পরিবশে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা অধিকার শেখ হাসিনার অঙ্গীকার এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে ‘পুষ্টিকর খাবার স্বাস্থ্য সম্মতভাবে বেঁচে থাকার মূল লক্ষ্যে’ অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন। সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি প্রদর্শিত হয়। সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিলেট জেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহের আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা পর্যায়ের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহর উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। সিলেট জেলা পর্যায়ের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়ের উপস্থিতিতে অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, সিলেটের পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক ডা. লুৎফুর নাহার জেসমিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্ত, সিলেট ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল বাতিন ফয়সল, ওসমানীনগর উপজেলার চেয়ারম্যান মইনুল হক চৌধুরী, সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নূরে আলম শামীম, সিলেট টিবি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা.সৌমিত্র রায়, সিলেট কুষ্ঠ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ফারহানা হক, সিলেট খাদিম পাড়া হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.জালাল আহমদ, সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডি.আর.এস. ডা. মইনুল আহসান, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার সুজন বনিক, জেলা স্যানেটারি ইনসপেক্টর স্নিগ্ধেন্দু সরকার, সিলেট র্যাব-৯ এর অপস্ অফিসার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। এ সময় বিভিন্ন উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করলে যে কোনো কাজ সহজ হবে। যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন সবাই যদি নিজের কাজকে সম্মান এবং শ্রদ্ধার সাথে সুষ্ঠুভাবে পালন করেন তাহলে আমাদের দেশকে উন্নতির যে স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি সেটি সফলতা আসবে। আর কাজে যদি সামান্য অবহেলা করেন তাহলে একটি পরিবার একটি সমাজসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়তে পারে। উন্নত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, স্বাস্থ্যই হচ্ছে সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য সেবা উপলক্ষে ১০% ডিসকাউন্টে রোগীরা সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে, সব বহির্বিভাগে এ সেবা প্রদান করা হবে। শুধু সরকারি ভাবে নয় বেসরকারি ভাবেও চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। আমরা শুধু বাইরে চিকিৎসা প্রদান করলে হবে না, ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি