মাসুদ আল রাজী শাবি থেকে :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘১৯৭১ এ যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মানুষরা যেভাবে বাংলাদেশীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তাদের অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে এ অঞ্চলের (ভারত-বাংলাদেশ) মানুষের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আরো সুসম্পর্ক প্রয়োজন।’
শনিবার (৬ এপ্রিল) সাড়ে ৯টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ ও ভারতের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য/উপাচার্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘আর্ন্তজাতিক উপাচার্য সম্মেলন’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রকৃতির বন্ধন ও রাজনৈতিক সীমানা বাংলাদেশ ও ভারতের আত্মিক বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না। অতীতে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যে সুসম্পর্ক ছিল ভবিষ্যতে তা আরো বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন অনেক উচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে, নতুন নতুন গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য বয়ে নিয়ে আসছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট আরো বাড়ানো হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়্যারমান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ভারত এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি, চেতনা পৃথক হতে পারে না। আজকের এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশ এবং ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দ্বার উন্মেচিত করবে। ভবিষ্যতে দুই দেশের সহযোগিতায় আরো বড় করে এমন অনুষ্ঠান করা হবে।’ শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ডিগ্রীধারী না হয়ে আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজের কাজ করার জন্যও আহ্বান জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্যে রাখেন মেঘালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মাহবুবুল হক, গৌহাটী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মৃদুল হাজারিকা, সম্মেলনের কনভেনর ও স্কুল অব এপ্লাইড সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডীন অধ্যাপক ড. এ এম এম মোকাদ্দেস এবং সম্মেলনের সদস্য সচিব ও কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এম জহিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, দেশের এবং দেশের বাইরের ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন আচার্য /উপাচার্যদের নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম আর্ন্তজাতিক উপাচার্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।