জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও দাস নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রণধীর কান্তি দাস রান্টুকে মামলার আসামী করায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে ফুসে উঠেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্র“য়ারি দাস নোয়াগাঁও গ্রামে বার্ষিক কীর্ত্তণ (পূজা) অনুষ্ঠিত হয়। পূজার ডেকোরেটার্সের কাজ না পাওয়ার ঘটনায় দাস নোয়াগাঁও গ্রামের গোবিন্দ দাস নামের এক ব্যক্তির হামলায় একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য অনিল চন্দ্র দাস ও রসময় দাস আহত হন। এ ঘটনায় আহত সাবেক ইউপি সদস্য অনিল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে হামলাকারী গোবিন্দ দাস ও বর্তমান ইউপি সদস্য রণধীর কান্তি দাস রান্টু সহ ৭ জনকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে-নিরপরাধ ব্যক্তি বর্তমান ইউপি সদস্য রণধীর কান্তি দাস রান্টুকে মামলার আসামী করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দাস নোয়াগাঁও গ্রামের নির্মল কান্তি দাস, কবিন্দ্র কুমার দাস, গৌরাঙ্গ কুমার দাস, গুণেন্দ্র কুমার দাস, সুরঞ্জিত দাস, আবরু মিয়া, মজনু মিয়া, টুনু মিয়া, বারুত মিয়া, আরশ আলী, লেচু মিয়া, ইসরাদ আলী, তাজিম আলী, ভূরাখালি গ্রামের আকিক মিয়া, আরব উল্লাহ, আলমগীর মিয়া, সিরাজুল মিয়া, লিটন মিয়া, হরিণাকান্দি গ্রামের রাশিদ উল্লাহ, করিম উল্লাহ, রাজন মিয়া, নুর উদ্দিন, রেজু মিয়া সহ অনেকে বলেন, এ সংঘর্ষের ঘটনায় বর্তমান ইউপি সদস্য রণধীর কান্তি দাস রান্টু জড়িত নন। তাঁকে অযথা মামলায় ফাসিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। তাই উক্ত মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিতে আমরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বর্তমান ইউপি সদস্য রণধীর কান্তি দাস রান্টু বলেন, সংঘর্ষের সময় আমি বেড়িবাঁধের কাজে ছিলাম। যা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানেন। এরপরও আমাকে অযথা মামলায় ফাসানো হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী বিরোধিতার কারণে আমাকে মামলায় ফাসানো হয়েছে।