টাকার অভাবে হাসপাতাল থেকে বাড়ী ফিরেছে নির্যাতনের শিকার গোলাপগঞ্জের সেই জাহেদ

141
টাকার অভাবে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছে নির্যাতনের শিকার গোলাপগঞ্জের জাহেদ।

সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
এখনও ক্ষত শুকায়নি নির্যাতনের শিকার গোলাপগঞ্জের বাঘার জাহেদের। টাকার অভাবে সেই জাহেদ গতকাল অসুস্থ শরীর নিয়ে হাসপাতাল থেকেই বাড়ী ফিরছে। গত ৯ ফেব্র“য়ারী রাতে ছানু নামে গোলাপগঞ্জের এক সন্ত্রাসী কর্তৃক চুনা ঢেলে দু’চোখ নষ্ট করে দেয়া জাহেদের টাকার অভাবে চিকিৎসা ক্ষেত্র ব্যাহত হচ্ছে। চোখ হারানোর পাশাপাশি শরীলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বেড়ে চলেছে দিন দিন। পানির বদলে সন্ত্রাসীদের খাওয়া চুনা-পানির প্রভাবে জলসে যাওয়ায় এখনো তাঠ খাবার খেতে হচ্ছে তাকে। দীর্ঘদিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭দিন চিকিৎসার পর শরীরের অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইউন্সিটিউিট হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবী ছানু মিয়া ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক। ঘটনার প্রথমে জাহেদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭দিন চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইউন্সিটিউিট হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে প্রায় ২৩দিন চিকিৎসার পর কিছুটিা সুস্থ্য হলে তাকে বাড়ীতে আনা হয়। ১১দিন বাড়ীতে থাকার পর আবারও গত শনিবার ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রফেসর ড. আবুল কাদেরের অধীনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সরেজমিন গতকাল শুক্রবার জাহেদের বাড়ীতে গেলে পরিবারের সদস্যরা জানান, আর্থিক অসচ্ছলতা ও টাকার অভাবে জাহেদকে উন্নত চিকিৎসা করানো যাচ্ছে না। চুনা দেয়ার ফলে তাকে দু’টি চোখ শতভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। পানির বদলে চুনা-পানি খাওয়ায় সন্ত্রাসীরা। এতে জাহেদ এখনো তরল খাবার খেয়ে বেচে আছে। তার গলার গা হয়ে গেছে। জাহেদের শারীরিক অবস্থার এখনো কোন উন্নতি হয়নি। রাতে বিভিন্ন সময় শরীলে কাপুনি আসে। তাকে দেখাশোনার জন্য ২/৩ জন মানুষ সাথে থাকতে হয়। এলাকাবাসী ও স্থানীয়দের দেয়া টাকায় চিকিৎসা চললেও বর্তমানে অর্থকষ্টে ভোগছেন তারা। এছাড়া জাহেদ আহমদের বড় ভাই শিপার আহমদ জানান, জাহেদের চোখ ফেরে পাবার কোন আশা নেই। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে নিয়ে গেলে কিছুটা সম্ভাবনা ছিল। তিনি সমাজের সকল ভিত্তবানদের সহযোগীতার জন্য অনুরোধ জানান। জাহেদের সাথে আলাপ করলে সে জানায়, ছানু মিয়া খবর দিয়ে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে অমানষিক নির্যাতন করেছে। আমাদের দু’টি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। অনেক সময় আমাকে নির্যাতন করার পর পানির কথা বললে তারা আমাকে চুনের পানি খাওয়ায়। ছানু মিয়ার সাথে আরো ৭/৮ ছিল। আমি তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমি শুনতে পেরেছি, ছানু মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। তার সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।
উল্লেখ, গত ৯ ফেব্র“য়ারী দৌলতপুর গ্রামের বাছাই মিয়ার পুত্র জাহেদ আহমদ(২৫)কে নিজ বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও চোখে চুনা ঢেলে দু’টি চোখ নষ্ট করে দেয়।