স্টাফ রিপোর্টার :
গত ৫ মার্চ আউশকান্দি থেকে অপহৃত মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মায়মুন ও গাড়ি চালক আব্দুর রহিমের সন্ধান এখনও পায়নি তার পরিবার। লন্ডন প্রবাসী স্ত্রীকে নিয়ে মৌলভীবাজারে যাওয়ার পথে তাদেরকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছে মায়মুনের পরিবার।
রবিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা আব্দুল্লাহ’র ভাই সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লতিফপুর গ্রামের মাওলানা মাহমুদ হোসাইনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মোস্তাফিজ এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, লন্ডন ফেরত স্ত্রী সরিফা নুসরাত তৈয়্যিবাকে নিয়ে ৫ মার্চ রাতে একটি কারযোগে (ঢাকা-মেট্রো-গ ১২-২২৩৪) মৌলভীবাজারে যাচ্ছিলেন মায়মুন। পথিমধ্যে গাড়ির গ্যাস সংগ্রহের জন্য আউশকান্দি বাজার এলাকায় সিএনজি স্টেশনে থামেন। তখন রাত ১০টা। সিএনজি স্টেশন থেকে বের হওয়ার পর একটি মাইক্রোবাসযোগে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। এসময় মায়মুনের স্ত্রী নুসরাত পালিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচলেও সন্ত্রাসীরা তার স্বামী আব্দুল্লাহ আল মায়মুন ও গাড়ি চালককে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল নবীগঞ্জ উপজেলায় হওয়ায় পরদিন থানায় মামলা দিতে গেলে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন দু’দিনের মধ্যে ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়ে বলেন- যদি এর মধ্যে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব না হয় তবেই আপনারা মামলা দেবেন। কিন্তু, বিগত ১২দিনেও তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি মামলাও নিচ্ছে থানা পুলিশ।
আব্দুল্লাহ আল মোস্কাফিজ আরও জানান, গত ১১ মার্চ বিকেল ৪টায় +০০৯৬৩৮৮৮৮৭৬৩ নাম্বার থেকে অপরিচিত কণ্ঠে তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। নবীগঞ্জ পুলিশ মৌলভীবাজার থানায় মামলা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, স্বামীকে খোঁজে না পেয়ে লন্ডনফেরত স্ত্রী সরিফা নুসরাত তৈয়্যিবাও ভেঙ্গে পড়েছেন। পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে নিরূপায় হয়ে পড়েছেন। ভাইকে দ্রুত উদ্ধার ও অপহরণকারিদের উদ্ধারে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মায়মুনের ভাই মোস্তাফিজ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল হাদিস মাওলানা মনছুরুল হাসান রায়পুরী, প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মুহিবুর রহমান, মাওলানা নোমানুল হক চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী ও এম বেলাল আহমদ চৌধুরী।