স্টাফ রিপোর্টার :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সিলেট সদর সহ সিলেটের ১২টি উপজেলায় কাল সোমবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিপূর্বে ভোগগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা। নির্বাচনের আগে গতকাল শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণার শেষ দিন ছিল প্রার্থীদের। তবে এবার উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। দলটির কয়েকজন নেতা স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন। অবশ্য এজন্য বিএনপি তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বাইরে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে লড়ছেন।
সিলেট সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশফাক আহমদ খাদিমপাড়া, টুলটিকর, আখালিয়া, শাহী ঈদগাহসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা শেষ প্রচারণা করেছেন। এছাড়া দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আবু জাহিদ কুচাই গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় এবং বিশ্বনাথ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম নুনু মিয়া গণসংযোগ করেছেন। তারা বলেছেন, বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি মানুষ এবারও নৌকায় ভোট দেবেন। চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের সাথে সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম সিরাজী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম ডালিম নির্বাচনে লড়ছেন। এছাড়া দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ নৌকা প্রতীকে, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ¦ ময়নুল ইসলাম আনারস এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান শোয়েব মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্র্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশ্বনাথ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম নুনু মিয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত) সুহেল আহমদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিসবাহ উদ্দিন প্র্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
একইভাবে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জসহ ১২ উপজেলায় প্রার্থীরা শনিবার সারাদিন প্রচারণা, পথসভা, গণসংযোগে তুমুল ব্যস্ত ছিলেন। এসব উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে কাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হবে গণনা।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে উপজেলায় ২২শ’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান।