গোলাপগঞ্জে খুঁড়ে রাখা মহাসড়কে মানুষের ভোগান্তি

42

সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
জকিগঞ্জ সড়কে এক কিলোমিটার সড়ক (এস্কেভেটর) দিয়ে খুঁড়ে এক মাস থেকে ফেলে রাখা হয়েছে। ফেলে রাখা সড়কটি এখন গর্ত আর ধূলোর রাজ্যেয় পরিণত হয়েছে। সড়ক সংস্কার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের ভোগান্তি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দেখান যেন কেউ নেই। সড়কটি খুড়ে রাখার ফলে ধূলার কারণে সড়কের পাশে অবস্থিত বিভিন্ন দফতর, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে বসবাসরত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে কর্মব্যস্ত মানুষ, স্কুলগামী ক্ষুদে শিক্ষার্থী, নারী, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ মানুষের জীবন যাত্রাকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আর মাত্র ক’দিন পর বর্ষা মৌসুম। ব্যস্ততম ওই সড়কটিতে খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখার ফলে যানজটের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে কোন না কোন দুর্ঘটনা। গোলাপগঞ্জ উপজেলার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ী ইউপির নয়া মসজিদ এলাকা থেকে হিলালপুর পার্ক গেইট পর্যন্ত সস্কার কাজের জন্য সড়কটি খুঁড়ে রাখা হয় এস্কেভেটর দিয়ে। দীর্ঘ এক মাস পার হলেও আলোর মুখ দেখেনি মহাসড়কটি। সিলেটের সবচেয়ে বেশি যানবাহন চলে ওই সড়ক দিয়ে। আবার পার্ক গেইট থেকে বরায়া উত্তর ভাগ পাঁচ মাইল আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহাব ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত রয়েছে ভয়ঙ্কর গর্ত। সড়কটি ৪/৫টি উপজেলার এক মাত্র চলাচলের মাধ্যম। সরেজমিন গতকাল বিকালে ওই এলাকায় যাওয়ার পর গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউপির নয়া মসজিদ এলাকার রিয়া স্টোরের মালিক জামাল আহমদ বলেন, প্রায় এক মাস আগে ওই রাস্তার এক কিলোমিটার সড়ক এস্কেভেটর দিয়ে পুরনো কার্পেটিং সরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর থেকে তাদের আর দেখা মিলেনি। পার্ক গেইট এলাকার আব্দুল কাদির বলেন, রাস্তা খুঁড়ে এক মাস থেকে কাজের ঠিকাদার উধাও। রাস্তার কার্পেটিং তুলে নেওয়ার পর থেকে পথচলা কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা যানযট লেগেই থাকছে। স্কুল কলেজেগামী শিক্ষার্থীরাও ধূলোর কারণে চরম বিপাকে পড়েছে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিরামপুর সিরাজ উদ্দিন হাইস্কুলের ছাত্র সাগর জানায়,অনেক আন্দেলন করে আমাদের স্কুলে সামন ঠিক হয়েছে। বাড়ী থেকে স্কুলে আসার সময় ধূলোয় সাদা কাপড় ময়লা হয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওই কাজের ঠিকাদার লুৎফুর রহমানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তার মাঠির সমস্যার কারণে কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে। মাটি পরীক্ষার পর কাজ শুরু করা হবে। আরো কিছুদিন মানুষকে কষ্ট করতে হবে।