মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর নাব্যতা হারিয়ে অসংখ্য ডুবচর সৃষ্টি হয়েছে। এতে নদীতে নৌযান ও রাণীগঞ্জ ফেরী চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। তাই নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে খনন করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। তা না হলে অত্র অঞ্চলের যোযোগাগ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।
জানা যায়, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের সাথে পলি মাটি এসে কুশিয়ারা নদীর তলদেশ দিনেদিনে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে নদীর নাব্যতা হারিয়ে অসংখ্য ডুবচর সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে হেমন্ত মৌসুমে নদীর পানি কমে গেলে নদীর ডুবচরে নৌযান ও ফেরী আটকে যায়। এতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় ভুক্তভোগীদের। যে কারণে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর ডুবচর চিহ্নিত করে অপসারণ করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সরজমিনে রাণীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সুহেল মিয়া সহ অনেকে বলেন, বর্তমানে কুশিয়ারা নদীটি দেখতে বড় হলেও নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। যার কারণে বড় ধরণের নৌযান চলাচল করতে পারে না। অনেক সময় আটকে যায়। তাই জনস্বার্থে আপাতত ড্রেজার মেশিন দিয়ে জরুরী ভিত্তিতে নদী খনন করতে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
এ ব্যাপারে রাণীগঞ্জ ফেরী ইজারাদার আবুল কাশেম বলেন, বর্তমানে আঁকাবাকা পথ দিয়ে কোন রকমে ফেরী চলাচল করছে। তবে নদী খনন না হলে আগামীতে ফেরী চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, কুশিয়ারা নদী খনন বিষয়ে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে নলজুর নদীর পশ্চিম দিক থেকে খনন কাজ চলছে।