ছাতকে হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে সিলেটের ডিআইজি

44

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান। শনিবার দুপুরে উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের নাইন্দার হাওরের ১নং পিআইসি কর্তৃক নির্মানাধিন বাঁধ পরিদর্শন করেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ এ দু’কর্মকর্তা। পরিদর্শনকালে বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ত্র“টির কথা উল্লেখ করেন ডিআইজি। এসব ত্র“টি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূরণ করার পরামর্শও দেন তিনি। বাঁধের স্লোপ যথাযথ না হওয়ায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে পিআইসির কাছ থেকে সঠিক কাজ আদায় করে নেয়ার জন্য ছাতকে দায়িত্বরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী ভানুজয় দাসকে বলেন। পাশপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার জন্য ডিআইজি কামরুল আহসান, পিআইসির সভাপতিসহ সদস্যবৃন্দকে তাগিদ প্রদান দেন। পরিদর্শনকালে এসপি মিজানুর রহমান, এডিশনাল এসপি (ছাতক সার্কেল) দোলন মিয়া, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান, ওসি (অপারেশন) কাজি গোলাম মোস্তফা, ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান পীর আবদুল খালেক রাজা, ১নং পিআইসির সভাপতি রাশিদ আলীসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বছরের ১নং প্রকল্পে নোয়ারাই ইউনিয়নের নাইন্দার হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ৩টি পিআইসি গঠন করা হয়। ১ নং প্রকল্প বাস্তায়ন কমিটি (পিআইসি) কর্তৃক ১.৩৭৫ কি.মি ভাঙ্গা বন্ধকরন ও মেরামতের জন্য সরকারি ১৬ লক্ষ ৩ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। ১৭ জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্র“য়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। ছাতকে নাইন্দার হাওরের জন্য ৩টি, ডেকার হাওরের জন্য ৩টি ও চাউলীর হাওরে বাঁধ নির্মাণের জন্য ১টি পিআইসি গঠন করা হয়। ডিআইজি কামরুল আহসান ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান যথা সময়ের মধ্যে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য প্রতিটি পিআইসির দায়িত্বশীলদের প্রতি নির্দেশ দেন। এর আগে ডিআইজি কামরুল আহসান লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কারখানা পরিদর্শন করেন। লাফার্জ হোলসিম প্লান্টের ম্যানেজার হারপাল সিং এবং লাফার্জের কর্মকর্তারা লাফার্জের উৎপাদন কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।