বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
১৪ বছরের নাবালিকা শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর অন্ত:সত্ত্বা করায় রাসেল নামের এক দুলাভাইকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল গতকাল সোমবার (১১ ফেব্র“য়ারি) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আগের দিন রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কৌশলে রাসেলকে থানায় ডেকে শাশুড়ির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। এরআগে রবিবার সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শাশুড়ি রফনা বেগম বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে একই গ্রামের ১৬ বছরের রহিমা বেগমকে ফুঁসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে বিয়ে করেন অটোরিক্সা চালক রাসেল মিয়া (২৫)। বর্তমানে ১১মাস বয়সী রহমা বেগম নামের তাদের একটি শিশু কন্যা রয়েছে। গত ৬ মাস আগে ঢাকায় না নিলেও একই কায়দায় স্ত্রী রহিমার ছোটবোন ১৪ বছর বয়সী রুনা বেগমের সঙ্গেও অনৈতিক মেলামেশা শুরু করেন রাসেল নামের দুলাভাই। ৫মাসের অন্ত:সত্ত্বাও করে ফেলেন শ্যালিকা রুনাকে। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে উপজেলার সৎপুর গ্রামের শশুর বাড়ি ও রাসেল মিয়ার নিজ বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। লম্পট দুলাভাই ওই গ্রামের ইছদ্দর আলীর ছেলে।
এদিকে ৫মাসের অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার পর অবশেষে দুলাভাইর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মুখ খোলেন নাবালিকা শ্যালিকা। পুলিশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাসেলকে থানায় ডাকেন। রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাসেল থানায় গেলে পুলিশ তাকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়ে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে ধর্ষণ মামলা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।