বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখার সুজাউল ফাজিল মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী নুসরাত আক্তারের এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার জন্য অধ্যক্ষকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। মাদ্রাসার গভর্ণিং বডি গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি অধ্যক্ষ ফয়জুর রহমানের বিরুদ্ধে বিধিমালা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে। এদিকে সোমবার দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে এলাকাবাসী অফিস বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
জানা গেছে, মাদ্রাসার এবারের দাখিল পরীক্ষার্থী (বিজ্ঞান) নুসরাত আক্তার ফরম ফিলাব করা স্বত্ত্বেও অধ্যক্ষের খামখেয়ালীর কারণে প্রবেশপত্র ইস্যু করেনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড। ফলে গত ২ ফেব্র“য়ারী অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় সে অংশ নিতে পারেনি। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে গত ২ ফেব্র“য়ারী গভর্ণিং বডির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। দায়ীদের বের করতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। গত ৬ ফেব্র“য়ারী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ছাত্রীর অভিভাবকসহ এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা চলছে এমন আশংকায় সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্থানীয় অফিস বাজারে মানববন্ধন অুনষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বঞ্চিত ছাত্রীর বাবা মুছলেহ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন, প্রাক্তন ছাত্র আব্দুল বাছিত, জামাল উদ্দিন, খালেদ আহমদ, সাদ্দাম হোসেন, তালেব আহমদ।
মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি আজিজুর রহমান পংকি মাস্টর জানান, তদন্ত প্রতিবেদন মাদ্রাসায় জমা হয়েছে। এ ব্যাপারে সোমবার বিকেলে গভর্ণিং বডির সভা ডেকেছেন। বিষয়টি ধামাচাপার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবী করেন কোন শিক্ষার্থী অভিভাবক এ ব্যাপারে মানববন্ধন করেনি।
তদন্ত কমিটির সদস্য আমির উদ্দিন জানান, তদন্তকালে প্রতীয়মান হয়েছে মেধাবী ছাত্রীটির অনাকাঙ্খিত ও দু:খজনক এ ঘটনার জন্য অধ্যক্ষ ফয়জুর রহমান সম্পূর্ণভাবে দায়ী। তদন্ত কমিটি তার শিক্ষা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে। তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার আরো অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।