সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ ও সবল রাখতে হলে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের বিকল্প নেই। এজন্যে এবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬২ হাজার ৬৪১ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামীকাল ৯ ফেব্র“য়ারি শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে। আন্তরিকতার সাথে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই আমরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ মা ও শিশুদের সুস্থ রাখতে সক্ষম হবো বলে তিনি উল্লেখ করেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড) ২০১৯ উপলক্ষে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিসিক হল রুমে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশনে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সচিব বদরুল হক।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমনের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশনে বলা হয়, আগামীকাল ৯ ফেব্র“য়ারি শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড সফল করতে সভায় বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৬ হাজার ৭০ জন শিশুকে ১টি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫৬ হাজার ৪৮৩ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়াও ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী ৮ জন শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রতিবন্ধী ৮০ জন শিশু রয়েছেন।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা, বাস স্ট্যান্ড ও রেল স্টেশনসহ সর্বমোট ২৪৭টি কেন্দ্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৪৯৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের মাধ্যমে শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইন চলাকালে সার্বক্ষণিক তদারকিতে থাকবেন ৫৪ জন সুপারভাইজার।
ওরিয়েন্টেশনে বলা হয়, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভারতের ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল বাতিল করে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে শিশুদের কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। এনিয়ে যে কোন গুজব সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি