স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সিলেট কার্যালয়ে তদন্ত চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার বেলা ২টায় ঘণ্টাব্যাপী এ তদন্ত চালানো হয়।
জানা গেছে, বিআরটিএ’র সিলেট কার্যালয়ে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস দেওয়ার সময় বিপুল পরিমাণে ঘুষ লেনদেন ও অনিয়মের অভিযোগ নিত্য দিনের। সম্প্রতি দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে গোলাপগঞ্জের সিএনজি অটোরিক্সার (সিলে-থ-১২-৮০২৭) মালিক আমীর হোসেন দুদকে অভিযোগ করেন। রবিবার এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক কর্মকর্তারা আকস্মিক তদন্ত চালান বিআরটিএ কার্যালয়ে। তদন্তে দুদক’র সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, ইসমাইল হোসেন ও উপ-পরিচালক আশরাফ হোসেনসহ ৪ সদস্যের একটি দল তদন্ত করেন। এ সময় দুদক কর্মকর্তাদের উপস্থিত হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অবস্থানরত দালালরা পালিয়ে যান। এ সময় দুদকের কর্মকর্তাদের দেখে বিআরটিএ অফিসে আসা অনেকেই অভিযোগ করেন। দুদক কর্মকর্তারা যে কোনো দুর্নীতি-হয়রানি তাৎক্ষণিকভাবে দুদক হটলাইনে (১০৬) জানানোর অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) প্রকৌশলী মো. ডালিম উদ্দীন বলেন, একখানা সিএনজি অটোরিক্সার মালিক দুদকে অভিযোগ করেন। এতে দুদক’র ৪ সদস্যের একটি দল তদন্ত করেছেন।
দুদক সিলেটের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা থেকে তাদেরকে বিআরটি অফিসে অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই দুদক সিলেট টিম বিআরটিতে অভিযান পরিচালনা করেন। দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালরা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, দালালের দৌরাত্ম ও অনিয়ম চরম আকারে ধারণ করায় দুদক অভিযান করেছে। তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।