কাজিরবাজার ডেস্ক :
চীনে ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। করোনাভাইরাস নিয়ে কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের ফেসবুকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের স্ট্যাটাস দেওয়া প্রসঙ্গে মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘আক্রান্ত সন্দেহে একজনের গোপন তথ্য এভাবে প্রকাশের ঘটনায় আমরা বিব্রত। তার (কাস্টমস কমিশনার) এই স্ট্যাটাসের ফলে ওই ব্যক্তিকে হেনস্থা হতে হয়েছে।’
সেব্রিনা বলেন, ‘এটি খুবই সিরিয়াস বিষয়। হালকাভাবে না নিয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। দায়িত্বশীল পদে থেকে কারও এমন আচরণ কাম্য নয়। সচেতন করতে গিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা উচিত হবে না। এমন ঘটনা উপকার করতে গিয়ে পুরো কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে।’
আবুধাবিতে একজন বাংলাদেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে জানিয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৪০ থেকে ৪১ বছর। তিনি চীন ভ্রমণ করেননি। চীনফেরত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে আবুধাবির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ বাংলাদেশির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান সেব্রিনা। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। বাকিদের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, নানা কারণে চীনের পরেই সিঙ্গাপুরকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, চীনের পরে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়, এরপর জাপানে। এখন এই দুটি দেশের পরিস্থিতিও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।