দারুণ এক জয় পেল চিটাগং ভাইকিংস

37

স্পোর্টস ডেস্ক :
ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৭৪ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন থিসারা পেরেরা। তাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেল ১৮৪ রানের বড় পুঁজি। কিন্তু থিসারাকে ছাপিয়ে নায়ক বনে গেলেন মুশফিকুর রহিম। ৪১ বলে ৭৫ রান করে চিটাগং ভাইকিংসকে ৪ উইকেটের দারুণ এক জয় এনে দিলেন দলীয় অধিনায়ক। বিপিএলে চার ম্যাচে এটি তৃতীয় জয় ভাইকিংসের। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে ওঠে এল মুশফিকরা।
রবিবার বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারেই বিনা উইকেটে ৫৮ রান তুলে ফেলে ভাইকিংস। ক্যামেরন ডেলপোর্টকে (১৩) ফিরিয়ে সাইফউদ্দিন ভাঙেন এ জুটি। এরপর দেখতে দেখতে ৩ উইকেটে ৭০ হয়ে যায় ভাইকিংসের স্কোরবোর্ড। সপ্তম ওভারে বল হাতে নিয়ে ইয়াসির আলীকে ফেরান থিসারা। পরের ওভারেই মোহাম্মদ শাহজাদকে তুলে নেন শহীদ আফ্রিদি। ফেরার আগে ২৭ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন শাহজাদ।
শাহজাদ ফেরার পর রানের গতি কমে যায় ভাইকিংসের। এক প্রান্ত আগলে রেখে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক মুশফিক। বিপিএলে নিজের সেরা ইনিংসটিই এদিন খেললেন তিনি। শেষ ৪ ওভারে ভাইকিংসের প্রয়োজন ছিল ৫৩ রান। মুশফিক সেটিকে শেষ দুই ওভারে ২৪-এ নিয়ে এলেন। ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিনকে মেরে তুলে নিয়েছিলেন ১৭। কিন্তু শেষ বলে আউট। ফেরার আগে ৪১ বলে সাত চার আর চার ছক্কায় ৭৫ রান করেন অধিনায়ক।
কিন্তু তার প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। শেষ ওভারে তখন ভাইকিংসের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭ রান। ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বল তুলে দেন ডসনের হাতে। প্রথম তিন বলে ২ রান। চতুর্থ বলে রবি ফ্রাইলিঙ্ক (৯*) বিশাল চক্কা হাঁকিয়ে দুই বল হাতে রেখেই চিটাগংকে এনে দেন জয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে ইনিংস শুরু করে কুমিল্লা। ফ্রাইলিঙ্কের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন টাইগার ওপেনার। দলীয় ২১ রানে উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয় (১০) আবু জায়েদের বলে ধরা পড়েন সেই ফ্রাইলিঙ্কের কাছেই।
এরপর এভিন লুইসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইমরুল কায়েস। দেখেশুনে ব্যাট করছিলেন তারা। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৮ রানে আহত হাতে মাঠ ছাড়েন লুইস। এরপর আবার ধস নামে কুমিল্লার। ধস নামান পেসার খালেদ আহমেদ। ৭৫ থেকে ৮৬- এই নয় রানের ব্যবধানে কায়েস (২৪), লিয়াম ডসন (২) আর হার্ডহিটার শহীদ আফ্রিদিকে (২) তুলে নেন তিনি।
বিপর্যয়ের মুখে কুমিল্লার হাল ধরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর থিসারা পেরেরা। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে দারুণ ব্যাটিং করা থিসারাকে বিপিএলেও দেখা গেল বিধ্বংসী চেহারায়। কাউকেই ছাড় দেননি তিনি। ১৯তম ওভারে ফ্রাইলিঙ্ককে পরপর দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ২০ বলে তুলে নেন ফিফটি। মোট চার ছক্কা, এক চার আর প্রথম বলে দুই রান নেয়ার সুবাদে ওই ওভারেই আসে ৩০ রান! শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে আট ছক্কা আর তিন চারে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। সাইফউদ্দিনও ১৯ বলে ২৬ রানের একটি কার্যকরি ইনিংস উপহার দেন। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৪০ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়ে রংপুরকে তারা এনে দেন বড় সংগ্রহ।