শ্রদ্ধা ভালোবাসায় নাট্যজন জহির খান লায়েকের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন

30
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রয়াত নাট্যজন জহির খান লায়েকের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন।

সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল ১১টা বাজার পূর্ব থেকেই নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মী শুভানুধ্যায়ীদের একমাত্র অপেক্ষা ছিল কখন তাদের ভালোবাসার মানুষ নিবেদিতপ্রাণ, নাট্যজন জহির খান লায়েককে একনজর দেখার জন্য। বেলা ১১.৪৫ মিনিটে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে তাঁর লাশবাহী গাড়ি এসে পৌঁছায়। সকলের চোখে-মুখে ছিল ভালোবাসার অশ্র“ আর কান্না। প্রিয় মানুষটিকে প্রত্যেকে একে একে শেষবারের মতো দেখেন। প্রায় ৪০ মিনিট সময় শহীদ মিনারে অবস্থানকালে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের আগমনে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ভরে যায়।
তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও শোকাহত মানুষের উদ্দেশ্যে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত শোক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, মুক্তিযোদ্ধা-নাট্যজন নিজাম উদ্দিন লস্কর, বিশিষ্ট সাংবাদিক আজিজ আহমদ সেলিম, মেট্রোপলিটন পুলিশের ডি.সি কামরুল আমিন, ক্রীড়া সংগঠক ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুজাত আলী রফিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আমিরুল ইসলাম লিটন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল বাছিত শেরো, প্রবীণ নাট্যকর্মী সুনির্মল সেনাপতি, প্রয়াতের ভাই সোয়েব খান ও শায়েক খান। প্রায় অর্ধ শতাধিক সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই প্রয়াত জহির খান লায়েকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সিলেট নাট্যাঙ্গনের অত্যন্ত সুপরিচিত মুখ, নিবেদিত প্রাণ নাট্যজন কথাকলি সিলেটের প্রবীণ নাট্যকর্মী জহির খান লায়েক গত শুক্রবার সকাল পৌঁনে ৮টার দিকে সদা প্রাণবন্ত, বন্ধুবৎসল এই নাট্যজন নিজ বাসভবনে আকষ্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘ ৫০ বছরের উর্ধ্বে তিনি সিলেটের নাট্যাঙ্গনে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বহু নাটকে মঞ্চ অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন রূপসজ্জাশিল্পী। তাঁর মৃত্যুতে সিলেটের নাট্য ও সংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গনে বাদ আসর তাঁর নামাজে জানাযা শেষে মায়ের কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি