স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর কাজিরবাজার ব্রীজ দিন ভরদুপুরে অযথা বিদ্যুৎ বাতি জ্বলায় বাড়তি বিল পাচ্ছে গ্রাহকরা। এ কারণে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বিদ্যুৎ বিভাগের ডিজিটালাইজেশনের ফাঁদে পড়ে বাড়তি বিলসহ বিভিন্ন সময়ের লোডশেডিংয়েরও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়লেও নীরবে সয়ে যাচ্ছেন নগরবাসী। এমনকি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারনে গত বৃহস্পতিবার আধবেলা হরতালও হয়েছে।
তবে, বিদ্যুতের বাড়তি দাম ও লোডশেডিংয়ের কারনে যেমন ভোগান্তি পোহচ্ছেন নগরবাসী অন্যদিকে বিদ্যুতের অপচয় করা হচ্ছে। সেটি নগরবাসীর অপচয় নয়, খোদ বিদ্যুৎ বিভাগের। যেখানে বিদ্যুৎ নিয়ে জাতীয় ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা হয় সেখানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের উদাসীনতার কারনে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই একটানা জ্বলছে কাজিরবাজার ব্রীজের সড়কের দুই পাশের বাতি। এমন অপচয়ে অনেকটা নারাজ নগরবাসীসহ নগরীর সচেতন মহল। বাড়তি দামে গ্রাহকদের ক্রয় করতে হচ্ছে বিদ্যুৎ তারপরেও লোড শেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের উদাসীনতার কারনে ব্যাপক লোকসানও গুণতে হচ্ছে সরকারের। এর সম্পূর্ণ দায়ভার চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের গাড়ে। অধিকাংশ সময় অনেক স্থানে দেখা যাচ্ছে ভরদুপুরে অযথা জ্বলছে সড়কের বাতিগুলো।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে সরেজমেনি কাজিরবাজার ব্রীজে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশের বাতি গুলো জ¦লছে। যদিও ভোর হওয়ার সাথে সাথে সেগুলো বন্ধ করার কথা। দুপুর সাড়ে ১২টায় আবারও গিয়ে দেখা সেগুলো জ্বলছে। বাতিগুলো বন্ধ করার জন্য কোন পদক্ষেপ নেই। তবে দিনদুপুরে এই বাতি জ¦লার কারন জানেন না সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের অলসতাকে দায়ী করেছেন সিলেট কল্যান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এহসানুক হক তাহের। তিনি বলেন, তাদের এই উদাসীনতা আর অলসতাই আমাদের দেশের উন্নতির পথে বাধা হয়ে কাজ করছে। তাদেরকে আরও সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। তাদের এই আচরণই প্রমাণ করে তাদের মধ্যে দেশত্ববোধ ও মূল্যবোধ দুটিরই অভাব। তাদের দায়িত্বশীলতার অভাব এটাই মূল দায়ী। অন্যকিছু এর জন্য দায়ী নয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম বলেন, দিনদুপুরে এভাবে বাতি জ্বলা কোন ভাবেই কাম্য নয়। কেউ আমাকে বলেওনি এই ব্যাপারে। কোন মেইনটেইন্সের এর কারণে এটা হতে পারে। আমি বাইরে আছি যার কারনে সঠিক কারন জানা নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।