কাজিরবাজার ডেস্ক :
গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সংসদে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বিকালে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথ সভার শুরুর বক্তব্যে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে আটটি আসনে জেতা পাওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদেও তারা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে কয়টা সিটে তারা জিতেছে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, তাদের পার্লামেন্টে আসা প্রয়োজন। কারণ, আমরা এটুকু বলতে পারি যে, আমরা যখন সরকারে এসেছি, আমরা দেশের জন্য কাজ করেছি। জনগণের জন্য কাজ করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে কোনো হয়রানি করতে যায়নি।’
ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ, তাদেরকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে। আগের রাতে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরা হয়েছে। আর ভোটের দিনও তাদের সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি।
তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল। অত্যন্ত শান্তির্পূণ পরিবেশে ভোট হয়েছে।
‘এবারের নির্বাচনে সব থেকে লক্ষণীয় বিষয় ছিল, মানুষের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা এবং ভোট দেওয়ার জন্য আগ্রহ। বিশেষ করে এদেশের তরুণ সমাজ, যারা প্রথম ভোটার এবং নারী। এবারের নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হলেও কিছু কিছু জায়গায় বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে গেছে। কোথাও তারা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তাদের এই অপকর্মের কারণে বেশ কিছু প্রাণহানি ঘটেছে, যার মধ্যে আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা অনেক আছেন।’
বিএনপির পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে হেরেছে, এই দোষটা তারা কাকে দেবে? দোষ দিলে তাদের নিজেদের দিতে হয়। কারণ, একটি রাজনৈতিক দলের যদি নেতৃত্ব না থাকে, মাথাই না থাকে, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে জয়ের কথা চিন্তা করতে পারে?’
‘একটি রাজনৈতিক দল পলাতক আসামিকে (তারেক রহমান) দিয়ে রাজনীতি করতে গেলে সেখানে কী রেজাল্ট হয়, সেটাই তারা পেয়েছে। তাও হতো না, যদি তারা নির্বাচনে যে প্রার্থী দিয়েছে, সেই প্রার্থী নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যটা না করতো। তাহলে আরও ভালো ফল তারা করতে পারতো।’
দলের নেতাদের আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘মানুষ নৌকার উপর যে আস্থা-ভালোবাসা রেখেছে তার প্রতিদান দিতে হবে দেশের উন্নয়ন করে।…স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ এবার পালন করা হবে বর্ণাঢ্যভাবে।’
সভার শুরুতে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতির আসনের দুই পাশে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, মোশাররফ হোসেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।