মেয়র না থাকায় অভিভাবক বিহীন হবিগঞ্জ পৌরসভা, দুর্ভোগে জনগণ

208
অভিভাবকহীন হবিগঞ্জ পৌরসভা।

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মেয়র না থাকায় অভিভাবকহীন শূন্যতায় চলছে হবিগঞ্জ পৌরসভা কার্যক্রম। এমনকি এখন পর্যন্ত কাউকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রও করা হয়নি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম। পৌর নাগরিকগণ পৌরসভায় বিভিন্ন সেবা পেতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বারবার। অতীতে মেয়র কোন কাজে হবিগঞ্জে না থাকলে প্যানেল মেয়রকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হতো। ভারপ্রাপ্ত মেয়র পৌরসভার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। কিন্তু এবার জি কে গউছ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য পদত্যাগ করলে মেয়রবিহীন থাকে হবিগঞ্জ পৌরসভা। পৌরসভা থেকে বলা হয়- মেয়রের দায়িত্বে কেউ না আসা পর্যন্ত ওই সেবা দেয়া সম্ভব হবে না। তবে শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ গত ২৮ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এদিকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের সমর্থকরা মেয়র পদে উপ-নির্বাচন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মো. সফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করে পদত্যাগ করেছেন। নিয়মমাফিক তা গৃহিত হবে। তবে এ ব্যাপারে পরবর্তীতে কোন সিদ্ধান্তের চিঠি আমাদের কাছে আসেনি। আশা করি শীঘ্রই মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্তের চিঠি আসবে। তখনই নিশ্চিত হতে পারবো তারা মেয়রপদ শূন্য ঘোষণা করেছেন কি না।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জি কে গউছের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তারা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। এ প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করলে পৌরসভার মেয়র হিসেবে জি কে গউছ বহাল থাকবেন।
এ ব্যাপারে পদত্যাগী মেয়র জি কে গউছ জানান, রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করলেও তারা আমাকে জানিয়ে ছিলেন মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনের মৌখিক নির্দেশেই আমি পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।