সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একসময় বাংলাদেশকে অসহায়, দারিদ্র্য ও নেতিবাচক জাতি হিসেবে উপস্থাপন করা হত। তাই হয়তো আমরা জানতাম, যে বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে আমরা এগুতে পারব না। কিন্তু বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী বিগত সাড়ে ১৩ বছর ধরে কাজ করছেন এবং প্রত্যেকটা জায়গায় গুণগত পরিবর্তন হচ্ছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে বড় একটি অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলাফল সার্বিক বাংলাদেশের উন্নয়ন। দুই হাজার এগার সালে শিক্ষার হার ছিল ৫১.৭৭। বর্তমানে শিক্ষার হার ৭৬.৬৬ অর্থাৎ বিগত ১৩ বছরে শিক্ষার হার বাড়ছে ২৫ ভাগ। যা বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি অভূতপূর্ব উন্নয়ন।
২৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট অঞ্চল’র উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সাপ্তাহ ২০২২ আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার হার বাড়ছে এখন আমাদের এডুকেশন কোয়ালিটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মেধা উন্নয়নের সাথে তার মানবিক মূল্যবোধ বাড়ুক। মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কে যদি মানুষ তৈরী করতে না পারি তাহলে জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পরব। আজকের আমারা চাই শিক্ষার্থীদের মেধা মূল্যায়নে জিপিএ-৫ এর চেয়ে মানবিক মূল্যবোধ তৈরী হোক। এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ তৈরী হোক। যাতে লাঞ্ছিত না হয়ে শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে শিক্ষক ও অভিভাবকরা সম্মানিত হন। সিলেটকে এগিয়ে নিতে হাওরাঞ্চল ও চা বাগানের পিছিয়ে পরা শিক্ষার্থীদের প্রতি জোর দেয়াসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে কৌশলগত পরিবর্তন ও শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট’র পরিচালক প্রফেসর মো. আব্দুল মান্নান খান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রমা বিজয় সরকার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্ত এর পরিচালক (মনিটরিং এন্ড ইভাল্যুশন) প্রফেসর মো. আমির হোসেন, সিলেটের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট’র সহকারী পরিচালক প্রতাপ চৌধুরী ও এমসি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহনাজ বেগমের সঞ্চলনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট’র পরিচালক প্রফেসর মো. আব্দুল মান্নান খান। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জামাল হোসেন এবং পবিত্র গিতা পাঠ করেন আদৃতা তাং। এছাড়াও জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা অনুভুতি প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সার্টিফিকেট তুলেদেন অতিথিবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি