কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভোটে বিএনপিকে ছাপিয়ে আওয়ামী লীগের জোটের শরিক জাতীয় পার্টির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়ার পর সংসদে দলটির ভূমিকা কী হবে, সে বিষয়ে সুষ্পষ্ট ধারণা মেলেনি।
জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসবে নাকি সরকারি দলের সঙ্গেই থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত আলোচনা করেই নেওয়া হবে বলে জনিয়েছেন দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ। ভোটের পরদিন ঢাকার বারিধারার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
রাঙ্গাঁ বলেন, ‘আমরা মহাজোটের সঙ্গে আছি। মহাজোটের সঙ্গে থাকব। আমরা প্রধান বিরোধীদলে যাব কি না, এ বিষয়ে দুয়েকদিন পরে সিদ্ধান্ত হবে। তার আগে আমরা মহাজোটের সঙ্গে আলোচনা করব।’
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ হয়। সরকার গঠন করে একসঙ্গেই। তবে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগে এই জোট ভেঙে যায়। বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের মুখে ভোটে আসে দলটির একাংশ। আর সংসদে প্রধান বিরোধী দল হয় জাতীয় পার্টি। আবার সরকারেও যোগ দেয়।
রবিবারের ভোটে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৬ এবং নৌকা নিয়ে জোটের শরিকরা আরো ১০টি আসন পেয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন।
অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে সাতটি আসন। ফলে তাদের সংসদে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
এবার ভোটে জাতীয় পার্টি জিতেছে কেবল যেসব আসনে আওয়ামী লীগ তাদেরকে ছাড় দিয়েছে। যেখানে দুই দলের প্রার্থীই লড়াই করেছে, তার প্রতিটাতেই ধরাশায়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা। খুলনা-১ আসনে হেরে জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায় একে প্রহসনের নির্বাচন বলেছেন।
ভোট নিয়ে এরশাদের মূল্যায়ন জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনে যেটা হয়ে গেছে, সেটা হয়েই গেছে। না মেনে নিয়ে বিদ্রোহ করার মতো জিনিস তো নয়। তিনি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছেন।’
এবারের নির্বাচনের আগে এরশাদের ভূমিকা কী হবে বরাবরের মতোই আলোচনার তুঙ্গে ছিল বিষয়টি। ভোটের প্রচার না চালিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বেশিরভাগ সময় ছিলেন সিঙ্গাপুরে। এর আগে দুই দফা ভর্তি হয়েছেন সিএমএইচে।
এরশাদ এখন কেমন আছেন- জানতে চাইলে রাঙ্গাঁ বলেন ‘এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।’
এরশাদ আবার সিঙ্গাপুরে যেতে পারেন কি না- জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘উনি যদি অসুস্থতা অনুভব করলে যেতে পারেন। আর না করলে যাবেন না।’
‘সিঙ্গাপুরে তাকে যে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়েছে সেটা যদি স্বাভাবিক হয়, সে ট্রিটমেন্টে যদি ভালো থাকে তবে তাকে আর সিঙ্গাপুরে যেতে হবে না।’