কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে এজেন্টদের দায়িত্ব পালন করতে হবে – খন্দকার মুক্তাদির

30

সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ৩০ ডিসেম্বর সকালে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট বিপ্লবে শরীক হওয়ার জন্য সিলেট-১ আসনের সর্বস্তরের ভোটারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এই আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
সেই সাথে ভোটের দিন দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে দায়িত্ব পালনের জন্য ধানের শীষের এজেন্টদের প্রতিও আহবান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার এক বিবৃতিতে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, নির্বাচনী তপশীল ঘোষণার পর থেকে আমি সিলেটবাসীর দ্বারে দ্বারে যাবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, সিলেটবাসী দেখেছেন আমাকে কিভাবে পদে পদে বাধা দেয়া হয়েছে। এরপরও সিলেটবাসী আমার প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তাতে আমি অভিভূত। আমার বিশ্বাস, ৩০ ডিসেম্বর সিলেটে ধানের শীষের পক্ষে ভোট বিপ্লব হবে। সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে ধানের শীষ। এই পবিত্র মাটিতে কোন ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জনগণ সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
বিবৃতিতে খন্দকার মুক্তাদির বলেন, ৩০ ডিসেম্বর সকালে মা-বোনদের সাথে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ধানের শীষের পক্ষে নীরব ভোট বিপ্লবে অংশ নিন। ইনশাআল্লাহ, পরম করুণাময়ের কৃপায় বিজয় নিয়েই আমরা ঘরে ফিরবো।
এদিকে, ভোটের দিন নিজ নিজ কেন্দ্রে আইনানুগভাবে ও দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে দায়িত্ব পালনের জন্য ধানের শীষের এজেন্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন খন্দকার মুক্তাদির। তিনি আওয়ামী লীগের কোনরূপ প্ররোচণায় উত্তেজিত না হয়ে, স্থির বুদ্ধিতে থেকে ঠান্ডা মাথায় দায়িত্ব পালনের জন্যও এজেন্টদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালনের জন্য ২৩ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ১৭ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ভোট কেন্দ্রের প্রতি বুথে একজন করে ধানের শীষের এজেন্ট থাকা, সকাল ৮টায় ভোট শুরুর আগে প্রতি বুথে রাখা ব্যালট বাক্সটি খালি ও তালাবদ্ধ আছে কিনা তা দেখা, এজেন্টদের ব্যালট বাক্সের নম্বরটি লিখে রাখা, প্রতি বুথে কতটি ভোট কাস্ট হচ্ছে তার হিসাব রাখা, প্রতি ১শ’ পাতার বইয়ের কতটি বই খোলা হলো এবং সর্বশেষ বই থেকে কতটি ব্যালট পেপার গেল তা দেখে যার যার বুথে কাস্টিং ভোটের হিসাব লিখে রাখা, চূড়ান্ত ভোট গণনার সময় এক কেন্দ্রে ধানের শীষের একজন এজেন্ট থাকবেন যার হাতে অন্য এজেন্টরা ব্যালট বাক্সের নম্বর ও কাস্টিং ভোটের হিসাব জমা না দিয়ে বের হবেন না, গণনার সময় যিনি থাকবেন তিনি ব্যালট বাক্সের নম্বরগুলো মিলিয়ে নেবেন, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় ভোটের বাক্স বদলানো হয়নি, গণনার আগেই কাস্টিং ভোটের হিসাব প্রিসাইডিং অফিসারে কাছ থেকে জেনে নেয়া এবং নিজের হিসাবের সঙ্গে মিলিয়ে নেয়া, গণনার পর সব মার্কার ভোট ও বাতিল ভোটগুলো যোগ করলে কাস্টিং ভোটের সমান হবে, বেশি হলে বুঝতে হবে বাইরে থেকে সিল মারা ব্যালট পেপার ঢুকানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারকে বিষয়ি জানাতে হবে, কাউন্টিং ভোট কাস্টিং ভোটের চেয়ে কম হলে বুঝতে হবে কিছু ভোট গায়েব হয়েছে। দুয়েকটি মিস হলে সমস্যা নেই। বেশি হলে প্রিসাইডিং অফিসারকে জানাতে হবে, বাছাইয়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে- ধানের শীষে সিল মারা ব্যালট অন্য বান্ডিলে যাচ্ছে কিনা। লক্ষ্য রাখতে হবে, নৌকার বান্ডিলে অন্য প্রতীকের ব্যালট যাচ্ছে কিনা, ভোটের সময় কেউ ভোট কেন্দ্রে বারবার এসে জাল ভোট দিচ্ছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে, এরূপ অনিয়ম দেখলেই সহকারী/প্রিসাইডিং অফিসারকে জানানো, নির্বাচনী এজেন্ট কোনরূপ বিবাদ বা গ্রেফতারের শিকার না হয়ে নিজেদের নিরাপদ রেখে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া, ফলাফল বুঝে পাওয়ার আগে খালি রেজাল্ট শিটে স্বাক্ষর না করা, প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়া রেজাল্ট শিট গ্রহণ না করা, রেজাল্ট শিট ও ব্যালট পেপারের হিসাবের শিট ছাড়া কেন্দ্র থেকে বের না হওয়া, জোরপূর্বক বের করে দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, ধানের শীষের প্রার্থীর কেন্দ্রীয় এজেন্ট, মিডিয়া, পর্যবেক্ষক ও আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের জানানো ইত্যাদি। বিজ্ঞপ্তি