স্টাফ রিপোর্টার :
সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদাঘাটে আওয়ামী লীগ সমর্থক কুয়েত ফেরত কাওছার আহমদ (৩৫) খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নিহতের চাচা নুর উদ্দিন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় এ মামলা (মামলা নং- ১৮, তারিখ- ২৮.১২.১৮) দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করেন।
এছাড়া এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছেন- সোনাউল্লাহর পুত্র আব্দুল আরিক এবং পিয়ারা বেগম। জালালাবাদ থানার ওসি শাহ্ হারুনুর রশীদ মামলার দায়ের ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে খুন হন কান্দিগাও ইউনিয়নের নলখত গ্রামের মাহবুব আলীর পুত্র কুয়েত প্রবাসী কাওছার (৩৫)। তার পরিবার দাবী করেন- নৌকার লিফলেট বিতরণ করতে কাওছার একই গ্রামের বারিক উল্লাহ, তরিক উল্লাহদের বাড়িতে যান। এই বাড়ির লোকজন বিএনপি সমর্থক ছিল। সেখানে বাড়ির লোকজনের সাথে রাজনৈতিক বিষয়ে কাওছারের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ঐ বাড়ির লোকজন তার উপর হামলা করলে তার মৃত্যু হয়। তবে গ্রামের অপর একটি পক্ষ জানায়- কয়েকদিন আগে গ্রামে একটি হারারো গরু পাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হলে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত ১০ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাওছার মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল শুক্রবার ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এদিকে, শুক্রবার সকালে নিহত কাওছার আহমদের মরদেহ দেখতে যান মহাজোট প্রার্থী ড. একে আব্দুল মোমেনসহ আওয়ামী লীগ নেতারা। ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে তিনি কাওছারের পরিবারকে শান্তনা দেন। এ সময় তিনি কাওছার হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য,মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান, প্রচার সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদ ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ সিরাজ প্রমুখ।