কাজিরবাজার ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন-তা নিশ্চিত করতে ১ হাজার ৩০০ বিচারিক হাকিম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে ইসির বড় পরীক্ষা। কমিশনকে আইনশৃংখলা বজায় রেখে স্বাধীন ও স্বচ্ছ ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সংস্থাগুলোকে নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালনে আদেশ দিয়েছে ইসি। এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিপুল সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেটের খসড়া তৈরি করেছে ইসি।
যা করতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা : ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটরা ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট চার দিন মাঠে থাকবে। নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ হলে এবং নির্বাচনী সহিংসতা হলে তারা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিচারকাজ চালাবেন।
ইসির উপসচিব (আইন) মো. শরিফ হোসেন হায়দার জানান, একজন বিচারিক হাকিম সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল দিতে পারবেন। অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একজন অপরাধীকে সর্বোচ্চ দুই বছরের দণ্ড দিতে পারবেন।
চার দিন ৬৫০ জন বিচারিক হাকিম ও সমান সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে।
গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে ৬৪০ জন বিচারিক হাকিমের খসড়া প্রণয়ন করেছে ইসি। তফসিল ঘোষণার পরপরই ৬৫০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করেছে কমিশন।
নির্বাচনের আগে ও পরে আরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ডেকে পাঠানো হবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ও সবার প্রতি সমানভাবে আচরণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে। সিটি করপোরেশনের কয়েকটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। প্রতিটি জেলার পৌর সদরে একজন অথবা দুজনকে মোতায়েন করা হবে।
চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। চট্টগ্রামের তিনটি অথবা চারটি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সিটি করপোরেশনের তিনটি অথবা চারটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তবে প্রতিটি জেলা পৌর সদরে একজন অথবা দুজন ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবেন।