লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে সয়াবিন তেলে ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
অবশেষে সয়াবিন তেল আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তিন মাসের জন্য এই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই ভোজ্যতেল আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের ঘোষণা আসতে পারে। এ নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এমনটিই জানিয়েছে।
অবশ্য ভোজ্যতেল আমদানিতে প্রায় ৩০ শতাংশের মতো ভ্যাট ও ডিউটি ফি দিতে হয় বলে জানান পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি।
এর আগে ভ্যাট প্রত্যাহারের সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিল।
জানা গেছে, বর্তমানে আমদানি ও উৎপাদন বা ব্যবসায়িক দুই পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ রয়েছে। দুই পর্যায়েই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে এক লিটার ১৬৮ টাকা, দুই লিটার ২৩৫-৩৪৫ টাকা ও পাঁচ লিটার সাড়ে ৮৩০ টাকা ও কোথাও এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ভোজ্যতেলের সংকটও আছে। এ নিয়ে গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার উপায় উদ্ভাবনের বিষয়ে আলোচনা করতে গত ৭ মার্চ আমদানিকারক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) নেতারা। বৈঠকে আগামী তিন মাসের জন্য ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম যেহেতু বেড়েছে, আগামীতে সরবরাহ অব্যাহত রাখতে অন্তত তিন মাস তেল আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানাই। প্রতিবেশী দেশ ভারতে অন্তত তিনবার এই ভ্যাট-ট্যাক্স সমন্বয় করা হয়েছে।