কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্ব দরবারে আরও ক্ষমতাশীল বলে বিবেচিত হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন বিশ্বের একশ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় এ বছর তাকে ২৬তম স্থানে রেখেছে। মঙ্গলবার এই তালিকা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
ফোর্বস-এর করা এ বছরের তালিকায় সবচেয়ে উপরের স্থানে রয়েছে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের নাম। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে। আর তৃতীয় স্থানটি দখল করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল(আইএমএফ)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড।
প্রতি বছর ফোর্বস-এর করা এই তালিকায় ধারাবাহিক উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। গত তিন বছরের পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যায়, ২০১৫ সালে তিনি ছিলেন এই তালিকার ৫৯ নম্বরে। ২০১৬ সালে এ লাফে উঠে আসেন ৩৬ নম্বরে। ২০১৭ সালে ছয় ধাপ এগিয়ে ৩০-এ এবং এবার আরও চার ধাপ এগিয়ে ২৬ নম্বরে।
শুধু ফোর্বস নয়, চলতি বছরের এপ্রিলে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায়ও নাম ছিল শেখ হাসিনার। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে বিদেশের মাটি থেকে বহু নামিদামি সম্মাননা ও খেতাব তিনি অর্জন করেছেন। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে হয়েছেন ‘মাদার অব হিউমিনিট’।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা-মাসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের হারিয়ে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন শেখ হাসিনা। স্বজন হারানো হাজারো বেদনা বুকে নিয়ে ১৯৮১ সালে তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ ও ১৯৯১-১৯৯৫ পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিরোধী দলের নেতা। ১৯৯৬ সালে তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে ২০০১ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। সেই লক্ষ্য নিয়ে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আবার তার দল বিজয় লাভ করলে তিনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
গত ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। এই সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করেছেন। বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক ও মানব উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজিটাল অগ্রগতিতে বাংলাদেশকে বিশ্বে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।