কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনশ আসনে প্রার্থী নির্ধারণ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। ইতোমধ্যে জেলা কমিটিগুলোকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে- যাদের মনোনীত করা হবে, তাদের সহযোগিতা করার জন্য।
জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দেশের মানুষের কাছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির মার্কাকে (লাঙল) আবারও সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা থেকেই সব আসনে প্রার্থী নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ আগ্রহীদের এই মনোনয়নে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
জাপার শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, জেলাগুলোতে আমরা চিঠি দিয়েছি। যাদের মনোনীত করা হবে- তাদের সহযোগিতা করতে এবং কোনওভাবে বিরক্ত না করতেও বলা হয়েছে জেলা কমিটির নেতাদের। সংগঠন থাকতে হলে প্রত্যেক আসনে প্রার্থী থাকার পরিকল্পনা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাতে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘দলের প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা সবগুলো আসন ধরেই প্রস্তুতি শুরু করেছি।’
জাপার উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধানত দুটি জোটে হবে বলেই এখন পর্যন্ত আস্থাশীল জাতীয় পার্টির শীর্ষনেতৃত্ব। আর এ বিষয়টিকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে জাপা।
দলের শীর্ষ পর্যায়ের আরেক নেতা বলেন, বাংলাদেশের চলমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় জোট নির্ভরতাই ফ্যাক্টর। সেক্ষেত্রে রাইট ও লেফটবেইজড- দুটো ধারার দলগুলো জোটবদ্ধ হবে।’ ওই শীর্ষ নেতা মনে করেন, ‘বিএনপি টিকে গেলে জাপা থাকবে না। জাপা টিকে গেলে বিএনপি থাকবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা কত আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করবো, সেটা ডিপেন্ড করে সামনের নির্বাচন কীভাবে হবে। আমরা কোন পর্যায়ে যাবো, কার সাথে এলায়েন্স করবো- এসবের ওপর, এগুলো পরে ঠিক করবো। তবে আমি মনে করি নির্বাচন ব্যক্তিগত বা একক হবে না। জোটগতভাবেই নির্বাচনই হবে।’