জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
সিলেট-২ আসনে হঠাৎ নির্বাচনী মাঠে তৎপর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি তার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন মুহিবুর রহমান। একইভাবে ২০১৪ সালেও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচন করেন তিনি।
জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে বিপুল ভোটে বিশ্বনাথে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর উত্তান ঘটে মুহিবুর রহমানের। ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন মুহিব। ওই নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির মকসুদ ইবনে আজিজ লামার কাছে পরাজিত হন তিনি। ২০০৯ সালে আবারও জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মুহিবুর রহমান। এরপর ২০০৯সালে জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। কিন্তু উপজেলায় জিতলেও মাজোটের প্রার্থী সেই ইয়াহইয়া চৌধুরীর কাছে পরাজিত হতে হয় তাকে। ২০১৪সালের নির্বাচনে হেরে যাবার পর ওইবছরের শেষের দিকে পারিবারিক চাপে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান মুহিব। এর আগে ২০০৮ সালে আ’লীগের মনোনয়ন পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন পান শফিকুর রহমান চৌধুরী। আর মনোনয়ন দৌড়ে তখনকার শফিক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী শফিক চৌধুরীকে সহযোগিতা করেন। পরে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক এমপি নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন শফিক চৌধুরী।
আসন্ন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজে মনোয়ন না চাইলেও দলীয় মনোনয়ন চান সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জমান চৌধুরী। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে আনোয়ার চৌধুরীকে নিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় নামেন মুহিব। কিন্তু দুই চৌধুরীর কাইকে না দিয়ে এবারও মহাজোটের শরিকদল জাপাকে এ আসনটি দেওয়া হলে হঠাৎ নিজেই প্রার্থী হয়ে গেলেন মুহিব।
এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুহিবুর রহমান বলেন, সিলেট-২ আসনের মানুষ লাঙ্গল চায়না তারা নৌকায় ভোট দিতে চায়। তাই জাপার কবল থেকে এ আসনটি রক্ষার্থেই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। জয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে মুহিবুর রহমান বলেন, এবার শতভাগ আশাবাদী তিনি বিজয়ী হবেন। তিনি বলেন শুধু বিশ্বনাথ আর ওসমানীনগরে নয়, দলীয় কোন্দল সব দলে সবখানেই আেেছ। এবার শফিক চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জমান চৌধুরীসহ আ’লীগের সকল নেতাকর্মীকে নিয়ে নির্বাচনে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।